শীতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। সাধারনত ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই এ সময় মৌসুমী অ্যালার্জির সমস্যাতেও ভোগেন।
এক নজরে দেখে নিন শীতে অ্যলার্জি থেকে বাঁচার ৫টি উপায়-
১. সাইট্রাস ফলের রস এ সমস্যা থেকে দূরে রাখতে দারুন কাজ করে। শুধু শরীরকে সতেজ করতেই নয় সাথে ভিটামিন সি মেলে টকজাতীয় ফলের রস থেকে। যা শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী বাড়িয়ে তোলে। ফলে মৌসুমী অ্যালার্জির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা লড়াই করতে সক্ষম হয়। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সাইটাসজাতীয় ফল রাখার চেষ্টা করুন।
২. অ্যালার্জির সমস্যা সারাতে পেঁয়াজও খুব ভালোভাবে কাজ করে। এতে সাধারনত দ্রবণীয় রাসায়নিক যৌগ থাকে। যার নাম হচ্ছে কোয়ারসেটিন। এটি শরীরে উৎপাদিত হিস্টামিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয় না।
৩. আপেল ও আখরোট স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এই খাবার দুটি রাখলে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পাবেন। এসব খাবার ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকায় শ্বাসকষ্ট বা কাশির লক্ষণ কমিয়ে দেয়।
৪. গরম ও ঝালযুক্ত অ্যালার্জির রোগীদের জন্য খুব দরকারি। এতে নাকের শ্লেষ্মা নিঃসরণ অনেক কমে আসবে। ফলে নাকের বন্ধভাব দূর হবে এবং খুব সহজেই শ্বাস নিতে পারবেন।
ঝাল খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শ্লেষ্মা ও কফ বের হয়ে আসবে। তবে অতিরিক্ত গরম বা ঝাল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. রক্তচাপ কমাতে, আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে ও মৌসুমী অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে পুদিনা পাতার চা। পেপারমিন্টে থাকে (লুটেওলিন-৭-ও-রুটিনোসাইড) নামক এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড।
যা হিস্টামিনের মতো প্রদাহবিরোধী এনজাইমের কার্যকলাপ ও নিঃসরণকে বাঁধা দেয় ও এর কারণে হওয়া শরীরেরঅস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে। আর এ পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখলে অবশ্যই আপনি অ্যলার্জি থেকে বাঁচতে পারবেন।