চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের তালা ও চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের চাবি দিয়ে নতুন তালা খুলছে না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির নবনির্বাচিত আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী। এফডিসিতে ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছিলেন জয়।
কাজের বিরতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন জয়। সে সময় এই তথ্য দেন অভিনেতা। তবে কে বা কারা তালা পরিবর্তন করেছেন সে বিষয়ে কারো নাম উল্লেখ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিল্পী জানান, নিপুণ যেদিন আপিল বোর্ডের রায় নিয়ে শিল্পী সমিতিতে ঢুকেছেন সেদিনই আগের তালা বদলে নতুন তালা লাগিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বদলে ফেলেছেন বসার চেয়ারও।
গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয় চৌধুরী অভিনেতা ও মডেল নিরবকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। তিনি মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে জয় বলেন, ‘আমাদের নির্বাচিত কমিটির মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সমালোচনা করলে সেটা আমাদের গায়েই পড়বে। তারা ভালো কাজ করলেও আমার শরীরে এসে লাগবে, খারাপ কাজ করলেও আমার শরীরে এসে লাগবে। ’
শুটিংয়ের ফাঁকে একবার ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য শিল্পী সমিতিতে গিয়েছিলেন জয়, তখনই দেখতে পেলেন নতুন তালা ঝোলানো। চাবি কার কাছে আছে তাও জানেন না নির্বাচিত এই সমিতির নেতা। চেয়ার পরিবর্তনের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন জয়। তরুণ এই অভিনেতা বলেন, ‘চেয়ার পরিবর্তন করার বিশেষ কোনো কারণ থাকতে পারে। হয়তো এখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব কোনো মতের ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু তালাচাবি পরিবর্তনের বিষয়টা বুঝতে পারছি না, এটার আলাদা কোনো বেনিফিট আছে কি না আমি জানি না। ’
সমিতি কার্যালয়ের অভ্যন্তরে কী রয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘চার বছর ধরে সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এর আনাচকানাচে কোথায় কী রয়েছে আমার সব জানা আছে। এখানে সোনাদানা লুকানো নেই যে চুরি হয়ে যাবে। ’
উল্লেখ্য, আপিল বোর্ডের রায়ে যেদিন জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয় সেদিন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণরা সমিতির কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি। কারণ চাবি ছিল আগের মেয়াদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের কাছে। পরদিন শপথ নেওয়ার সময় মিশা সওদাগর এসে কাঞ্চন-নিপুণদের ঢুকতে দেন। অনেকেই ধারণা করছেন, সেদিনের হয়রানির কারণেই তালা বদলে ফেলতে পারেন নিপুণরা।