শায়খ আহমাদুল্লাহ’র প্রশ্ন: এবার কি কেউ হিজাব পরে প্রতিবাদ করবেন?

ইসলাম

নিউজ ডেষ্ক- কয়েক দিন আগে টিপ পরে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের এক নারী প্রভাষক। এরপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় সবত্রে। অনেকেই টিপ পরে ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানান সেসময়ে।

এদিকে গত ৬ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার একটি স্কুলে হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। টিপ নিয়ে যারা প্রতিবাদে সরব ছিলেন, তারা এখন কেন নীরব ভূমিকায় এমন প্রশ্নে রেখে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব

পরে স্কুলে আসায় ১৮ শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেছেন আমোদিনী পাল।’ -সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের। এবার কি জাতীয় সংসদে কেউ প্রশ্ন তুলবেন: হিজাব পরা নিষেধ কোন আইনে? এবার কি কেউ হিজাব পরে প্রতিবাদ করবেন? এবার কি কোনো দূতাবাস কর্মীরা হিজাব পরে সংহতি জানাবেন? এবার কি গণমাধ্যমগুলো এটা নিয়ে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করবে? এবার কি বিশিষ্ট্য নাগরিকগন বিচার দাবি করবেন? আমরা চাই, এ ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হোক।

উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল ছাত্রীদের পেটানোর ঘটনা ঘটলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে গতকাল (৭ এপ্রিল)। একাধিক ছাত্রীর অভিযোগ, অ্যাসেম্বলি চলাকালীন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল তাদেরকে পিটিয়েছেন। কারণ তারা হিজাব পরে স্কুলে এসেছেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।

যদিও আমোদিনী পাল জানিয়েছেন, স্কুল ড্রেস না পরে আসার কারণেই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখানে ধর্মীয় কোনও বিষয় ছিল না। স্কুলড্রেস পরে না আসায় তাদের শাসন করেছিলাম। একশ্রেণির মানুষ বিষয়টিতে ধর্মীয় রং লাগাচ্ছে। মূলত তাদের স্কুলড্রেস পরে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *