শপথ নিন বিদ্যুৎ দিনে ব্যবহার না করার: জ্বালানি উপদেষ্টা

বাংলাদেশ breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে দিনের আলোয় সবাই কাজ সাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী। এজন্য দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার শপথ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রোববার (২৩ অক্টোবর) শিল্প খাতে জ্বালানি সংকটের প্রভাব প্রশমন নিয়ে এক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জ্বালানি সাশ্রয়ে গত জুলাই থেকে ঘটা করে লোডশেডিংয়ের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি শীতের আগে আগে মারাত্মক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৪ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে রাতেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে, যে কারণে জনমনে ক্ষোভ স্পষ্ট।

বিদ্যুৎ কম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘যুদ্ধের সময় কিছুই ছিল না। কোনো খাওয়া ছিল না। তখনও বাঙালি পেরেছে। এখনও পারবে আশা করি। সাশ্রয়ী হতে গিয়ে কষ্ট করতে হলে সবাইকে তা করতে হবে। সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। দরকার হলে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহারই করব না। আমরা শপথ নেব দিনের বেলায় কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।’

তিনি বলেন, ‘এমনও দিন ছিল যখন রাতে আমরা বাতি দিয়ে থেকেছি। দিনের আলোয় সব কাজ করেছি। এত আরাম আয়েশে থাকতে হবে কেন? একটু কম করলেই হয়।’ সরকার কী করতে যাচ্ছে, সেটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ফাইনান্সিং চাইব কিছু ভালো দেশের কাছে। এখন এটা কতদূর সমর্থন পাব জানি না, তবে খুব শিগগিরই আমরা চেষ্টা করব।’

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয় বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই পরিস্থিতি আর দুই মাস চললে আমরা একবারে শেষ হয়ে যাব।’

অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়েক সেন বলেন, ‘খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক নিরাপত্তা। এ দুটি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ইউরোপের মতো অবস্থা আমাদেরও হবে।’ তিনি বলেন, ‘স্পট মার্কেট অরিয়েন্টেড করে আপাতত দুই মাস সমাধান দিতে পারব। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক বছরে শেষ হবে না। তাই সবাইকে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২০৪১ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে ৩০০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট লাগবে। যদি আমরা এই অবস্থায় থাকি তাহলে আমরা কীভাবে বাঁচব বা প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ কীভাবে পূরণ করব? যদি আমাদের গ্যাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমরা সবই করতে পারব।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *