নিউজ ডেষ্ক- দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। কয়েক দিন আগে তার বড় সন্তান রণ-ঈশিতার বিয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলের বিয়েকে কেন্দ্র নানা রকমের ইতিবাচক ও নেতিবাচ মন্তব্যের মুখামোখি হয়েছেন। সেগুলোর উচিত জবাবও দিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় আসিফের ভেরিফায়েড পেইজে পোস্ট করেন।
সেখানে তিনি লিখেন, প্রতিটি শিল্পীর শক্তিশালী ফ্যানবেজ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আমিও সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গানের ফ্যানদের যথাযোগ্য সম্মান করি ভালবাসি গর্ব করি। আবার কখনও কখনও তাদের উপর শাসনের খড়গ চালাই, তারা এটাতে অভ্যস্ত। কালের বিবর্তণে আকাশের জ্বলজ্বলে তারাও খসে গিয়ে সৌরজগতের ব্ল্যাকহোলে পতিত হয়। মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারলে মৃত্যুর পর পূণর্জন্মের সাধ কারোরই থাকবেনা, আমারও নেই। ভালবাসা অবিরাম।
আসিফের পুরো পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো, শ্রোতাবান্ধব গায়ক আমি। সারাদেশে রয়েছে শক্তিশালী ফ্যানবলয়। এক জীবনে একজন পারফর্মারের এটাই যথেষ্ট অর্জন। রণ ঈশিতার বিয়েতে পঁচিশজনকে দাওয়াতের তালিকায় রেখেছিলাম, নট সেরা পঁচিশজন। আমার কাছে প্রত্যেকটি বুজদার ফ্যান এর ভ্যালু রয়েছে। এরা বিভিন্ন জেলা থেকে বিয়েতে এসেছে। মোসলেহ উদ্দীন রাজু নোয়াখালীর ছেলে, থাকে ওমান। সে দাওয়াত পেয়েই তাৎক্ষনিকভাবেই টিকেট কেটে চলে এসেছে। তাকে হলুদের অনুষ্ঠানে দেখে অনেকদিন পর একটু চমকিত হলাম।
তাহমিনা মুক্তা আমার কুমিল্লার মেয়ে। খুব ছোট্টবেলা থেকেই ফ্যান, ফ্যান মানে সুনামী টাইপের ফ্যান। আম্মা মুক্তাকে খুব আদর করতেন। সে প্রায়ই গিয়ে আম্মার খোঁজ নিতো। একসময় কুমিল্লা গেলেই মুক্তাভীতি কাজ করতো, তার চোখ এড়িয়ে কুমিল্লায় থাকা ছিল অসম্ভব। সে ভূতের মত কিভাবে যেন আমার সামনে হাজির হয়ে যেতো। সেই মুক্তা তার স্বামী সাগর আর সন্তানদের নিয়ে রণ ঈশিতার বিয়েতে এসেছে, আমি খুব আনন্দিত।
জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখী ঢাকার মেয়ে, ফ্যানদের পক্ষ থেকে আসা অনেক উৎপাত থেকে সে আমাকে প্রটেকশন দিয়ে রাখে, তাকে সবাই খুব মানে। বগুড়ার ইলিয়াস বরিশালের সোহাগ আমার পেজের এডমিন থেকে স্নেহভাজন ছোটভাই এখন। নাহিদ বাকীবিল্লাহ সিলন বাহারুল সানী’রা (শনি) প্রতিনিধিত্ব করেছে আমার সব ফ্যানদের পক্ষ থেকে। তাদের মধ্যে থেকেই আমার ছেলের বিয়েতে আপনার প্রতিনিধিত্ব খুঁজে নিলে আমিও দায়মুক্ত হতে পারি।