নিউজ ডেষ্ক- চলতি বছর ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে ৫ বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। এতে বড় আকারের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন চাষিরা। বর্তমান নিম্নমুখী দামের পেছনে ১০ থেকে ২০ বছর ধরে সরকারের নেয়া পলিসিগুলোকে দায়ী করেছে কৃষকদের সংগঠনগুলো।
জানা যায়, ভারতের বাজারে ২ মাসের মধ্যে পেঁয়াজের গড় দাম দাঁড়িয়েছে কুইন্টালপ্রতি ১ হাজার ১০০ রুপিতে, যা ২০১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে ১৫ রুপি। আরো ৫ রুপি খরচ করতে হচ্ছে মজুদের জন্য। চলতি বছর দাম কেজিতে ২০ রুপি পর্যন্ত পৌঁছার সম্ভাবনা দেখছেন না কৃষক নেতারা। এক্ষেত্রে তারা কেন্দ্র সরকারের প্রতি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অজিৎ শাহ বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ অপ্রতুল চাহিদা। বিশেষ করে রফতানি বাজারে মসলাপণ্যটির চাহিদা উদ্বেগজনক হারে কমেছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণই মূলত পেঁয়াজের রফতানি চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের বাল্ব রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরও দাম ব্যাপক হারে কমেছে।
অজিৎ শাহ বলেন, বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু ২০১৯ ও ২০২০ সালে রফতানি বন্ধের কারণে আমদানিতে তুরস্ক ও মিসরমুখী হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে পণ্যটির উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে দেশটি পেঁয়াজবীজ আমদানি শুরু করেছে।
তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এখনো আশাবাদী দেশটির কৃষক ও খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের প্রত্যাশা, এ কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ রফতানি চাহিদা আবারো বাড়তে পারে।