লাল ড্রাগন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষে সাফল্য নীলফামারীতে

কৃষি ও প্রকৃতি

নিউজ ডেষ্ক- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদেশি জাতের রসালো ও পুষ্টিকর লাল ড্রাগন ফলে ভরে উঠেছে মাঠ। এর রঙ,গন্ধ,স্বাদ অতুলনীয় হওয়ায় দেশের বাজারসহ সারাবিশ্বে এর বিশেষ কদর এবং চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

এতে উপজেলার চাঁদখানা ইউপির দক্ষিণ চাঁদখান গ্রামে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষাবাদে মিলেছে সফলতা।

ওই এলাকার বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল এমন স্বপিল্ল পরিপাটি বাগানে লাল ড্রাগন উৎপাদন করে সম্ভবনার দুয়ার খুলেছেন। তার বাগানে প্রতিটি গাছের ডগায় ডগায় ৩-৪টি করে দুলছে লাল ড্রাগন ফল।চলতি মৌসুমে সফল ফলনে চমক লাগিয়েছেন তিনি।

এ অঞ্চলের মাটি, আবহাওয়া ড্রাগন চাষে খুবই উপযোগী। তাছাড়া রোগ-বালাই কম ও কম পুজিতে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যান্যরাও ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সোমবার সরেজমিনে ফার্মের প্রোডাকশন ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানায়,কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২১ সালে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৭০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়।

যশোর থেকে চারা গুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে ।এর পর ফল আসা শুরু হয়।

রাজধানী ঢাকাসহ স্থানীয় বাজারে প্রথম কিস্তিতে ফল বিক্রি করে ১লাখ ৩০হাজার টাকা এবং চারা বিক্রিতে ৩০ হাজার টাকা আয় আসে। এ বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে একের পর এক ছাদ বাগানের টবসহ কৃষিজমিতে ড্রাগনের বাগান গড়ে উঠছে।

আর চলতি মৌসুমে প্রতিটি গাছে নজর কাড়া ফল এসেছে। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজার মূল্যে ৩শ থেকে৪শ টাকা, যা ভাল ফলন পেয়ে ১০লাখ টাকা আয়ের আশাবাদি।

তিনি আরো জানান,বাগান তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা। শুধু পরিচর্যায় ২০ বছর মিলবে সফলতা। বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫-৩০ কেজি। যা বাগান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে এমন আশাবাদী তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষি উদ্যেক্তা কাজল বাণিজ্যিকভিত্তিতে লাল ড্রাগনের বাগান করে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে ৩০জনের মত কৃষক ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেছেন। শখের বসে হলেও ব্গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে।

এতে স্থানীয়দের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হবে। অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। উচ্চ মূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ব করা হচ্ছে। সাথে নিরাপদ ফল উৎপাদনে সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *