নিউজ ডেষ্ক- আবারো বিপদের মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের হাল ধরেছিলেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন দাস করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে ঠিকমতো সঙ্গ পেলে হয়তো আরও একটি সেঞ্চুরি আসতো তার ব্যাট থেকে। একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও অপরপ্রান্ত ধরে রেখে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি উপহার দেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করলেন তিনি। ৬৬ বল খেলে ৮ বাউন্ডারিতে এই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন। সে সঙ্গে দারুণ একটি রেকর্ডও গড়ে ফেললেন বাংলাদেশের এই প্লে-মেকার। ২০২২ সালের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাজার রানের মাইফলক পার হয়ে গেলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের অফ স্টাম্পে পড়া বলকে দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে বাউন্ডারি মেরেই এই কৃতিত্ব গড়েন লিটন। তবে হাফ সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি লিটন। ৭০ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে চলতি বছর খেলা আগের ১৫ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ৪৯.৮০ গড়ে রান তুলেছেন লিটন। ৬ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ৩ সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে।
সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংসটি খেলেন গত মাসে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০২২ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় লিটনের পরেই রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভৃত্য অরবিন্দ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে তার রান ৯৪৫। তিন নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ১০ ম্যাচের ১২ ইনিংসে করেছেন ৯১৩ রান।
শীর্ষ দশে থাকা অন্যরা হলেন পাকিস্তানের ইমাম উল হক (৯ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৮৬৭ রান), আরব আমিরাতের চিরাগ সুরি (২৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৭৭১ রান), শ্রীলঙ্কার নিশাঙ্কা (২০ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৭৬১ রান), উসমান খাজা (৫ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ৭৫১ রান), নেপালের দিপেন্দ্র আইরি (২৩ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১৮ রান), ওমানের জতিন্দর সিং (২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৭১৮ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা (১৬ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১২ রান)।