নিউজ ডেষ্ক- জ্যামাইকার বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি। যখন নেমেছেন তখন আর ম্যাচের বাকি ৩৬ মিনিট। শেষ চার মিনিটে করেছেন দুই গোল। মেসির এই জোড়া গোলে জ্যামাইকার বিপক্ষেও ৩-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯০-এ। দলের হয়ে অন্য গোলটি করেছেন মেসির জায়গায় ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে নামা হুলিয়ান আলভারেজ। এই জয়ের মাধ্যমে আরও অনেকটাই কাছে চলে এসেছে টানা অপরাজিত থাকার বিশ্বরেকর্ডের।
এ নিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো লিওনেল স্কালোনির দল। আগামী নভেম্বরে বিশ্বকাপ শুরুর আগে আবুধাবিতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। সেটি জিতলে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার সুখস্মৃতি নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করতে পারবেন মেসিরা।
বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোর শেষ ম্যাচে মেসিকে তো বটেই, রড্রিগো ডি পলকেও দলে রাখেননি কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। জায়গা হারান পাপু গোমেজও। একাদশে ফেরেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আনহেল ডি মারিয়া, ইউলিয়ান আলভারেজরা।
তবে তাদের পেয়েও প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা বেশ বিবর্ণ ফুটবলই খেলেছে। গোলটা অবশ্য আদায় করে নিয়েছে ঠিকই। ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় লাওতারো মার্টিনেজ বল পায়ে ঢুকে পড়েন, এরপর স্কয়ার করেন সতীর্থ ইউলিয়ান আলভারেজকে। তার সহজ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মিনিট পাঁচেক পর সেই আলভারেজ বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জিওভানি লো চেলসোকে। তবে সে যাত্রায় আর গোল পায়নি আর্জেন্টিনাও। পায়নি প্রথমার্ধেও।
পেতে পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৬ মিনিট পর্যন্ত। এর আগ পর্যন্ত ঘটে গেছে অনেক কিছুই। মেসি-ডি পলকে আনা হয়েছে মাঠে। এসে বারদুয়েক অনাহুত অতিথির খপ্পরেও পড়তে হয়েছে মেসিকে। এরপরই পেলেন গোলটা।
৮৬ মিনিটে তিনি বলটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লো চেলসোকে। তিনি বলটা আয়ত্বে রাখতে পারেননি, পেছন থেকে ট্যাকল করে বলটা কেড়ে নিতে চেয়েছিল জ্যামাইকা রক্ষণ। তবে তাতে সফল হয়নি দলটি, বলটা আবার গিয়ে পড়ে মেসির পায়ে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে বক্সের সামনে রক্ষণের জটলা থেকেই নেন শট, আর তা গিয়ে জড়ায় জালে।
মিনিট দুয়েক পর এবার একই জায়গায় ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। দেয়ালের নিচ দিয়ে মেসি ফ্রি কিকটা নেন, তা-ই গিয়ে জড়ায় জালে। প্রায় এক বছর পর ফ্রি কিকে গোল পান মেসি। তাতেই ৩-০ গোলের জয় তুলে নেয় দলটি।