নিউজ ডেস্ক: পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বসেছ প্রথম ইউনিটের বহুল প্রতীক্ষিত পারমাণবিক চুল্লি ‘নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল’। যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃৎপিণ্ড বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন।
রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের এটি উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র দিয়ে নয়, বিদ্যুৎ তৈরি করে শান্তি স্থাপন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
রোসাটম (রাশিয়ান এটোমিক এনার্জি সংস্থা) ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য এই ‘রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল’টি রাশিয়া থেকে পানিপথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশে আনা হয়েছে।
যা স্থাপনের জন্য এক বছর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়। ‘রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল’ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে মূল জ্বালানি থাকবে।
আরও জানা যায়, পারমাণবিক চুল্লির পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে নৌপথে ঈশ্বরদীর পাকশীর পদ্মা নদী হয়ে রূপপুরে আনা হয়েছে।
রাশিয়ার পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিদ্যুৎ ইউনিটের অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পিত মাত্রার নিশ্চয়তা দেবে।
তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্পের উন্নয়ন কেবল বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহের সমস্যার সমাধান করবে না, এই অঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি করবে।
লিখাচেভ আরও বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে এই সহযোগিতা কৌশলগত। আমি এই মর্মে আত্মবিশ্বাসী যে বিদ্যুৎ প্রকৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে যা রাশিয়ান এবং বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।