টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফ হাসানের বদলে এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার শাহনেওয়াজ দাহানিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্বাগত জানান এই বাঁহাতি ব্যাটার। এক বল পরেই শান্তকে বোল্ড করে বিদায় করে দেন দাহানি। ৫ বলে ৫ রানে মাঠ ছাড়েন শান্ত।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাওয়া শামীম হোসেন নামে তিন নাম্বারে। শামীমের ব্যাট থেকে আসে চারটি চারের বাউন্ডারি। ২৩ বলে ২২ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে উসমান কাদিরের বলে সীমানার কাছাকাছি ইফতিখার আহমেদের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন শামীম। প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২ উইকেটে মাত্র ৫২ রান।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে তালুবন্দী হন কাপ্তান রিয়াদ। অধিনায়কের উইলো থেকে আসে ১৪ বলে ১৩ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে শিকার করেন দুইটি উইকেট। ৩৫ রানের বিনিময়ে সমান দুইটি উইকেট নেন কাদির।
১২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও ধীরগতিতে শুরু করে তাদের ইনিংস। সপ্তম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবরকে শিকার করেন এই বিপ্লব। ৩২ রানে ১ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। বাবর ফেরেন ২৫ বলে ১৯ রানের ছোট ইনিংস খেলে।
বোলারদের দারুন বোলিংয়ে স্বপ্ল রানের ম্যাচও গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। পাকিস্তানকে আটকানোর দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন কাপ্তান রিয়াদ। প্রথম বলটি ডট দেওয়ার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলেই শিকার করেন উইকেট।
ইফতিখার নেমেই ছক্কা মেরে পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যান ম্যাচ। পরের বলে তিনিও ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ২ রান। রিয়াদ শেষ বলটি করার পরপরই হাত তুলে দেন ব্যাটার মোহাম্মদ নওয়াজ। বলটি সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। তবে বলটি ডেড ঘোষণা করা হয়। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নওয়াজ।