নিউজ ডেষ্ক- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী মাসের (ডিসেম্বর) ৮ তারিখ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে জানায় আদালত। এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন,“আশা করেছিলাম আজকে আদলত রায় দিয়ে দিবে। সেজন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আদালতে এসেছি। কিন্তু রায় পেছাল। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। তবে আশা করবো রায়টি যেন দ্রুত দিয়ে দেওয়া হয়।”
আজ (রোববার) রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা ছিল। তবে রায় পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ (রবিবার) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর বিচারক বলেন, “রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা বিশ্লেষণ করে রায় পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। রায় প্রস্তুত করতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হলো।”
এর আগে চলতি মাসের ১৪ তারিখ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। আর ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
আলোচিত এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।