রাস্তা ফেটে এক মাসেই চৌচির!

বাংলাদেশ

নিউজ ডেষ্ক- ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কের এজিং ভেঙে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি। পুনর্নির্মাণ সড়ক সংস্কারের কাজটি করেছে ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজার থেকে ডোবরা গ্রাম পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে বাজেট ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কাজটি শুরু হয়ে ঈদের আগে কাজ শেষ হয়। সংস্কার শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। কোনো কোনো স্থানে কার্পেটিং উঠে এজিং ভেঙে পুকুরেও চলে গেছে। কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা উঁচু-নিচু হয়ে দেবে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাতৈর দিঘির পাড় এলাকায় রাস্তার এজিং ভেঙে দিঘিতে চলে গেছে, সোজা মোল্যার বাড়ির পাশে রাস্তা ফেটে গিয়ে দেবে গেছে। একই গ্রামের খালেক মাতব্বরের বাড়ির সামনে রাস্তার পাইলিং ভেঙে পুকুরের ভেতরে এবং গো-মরা মোড়ে বিটুমিন উঠে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাতৈর গ্রামের আলিম শেখ বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি এবং ফসল মৌসুমে ফসল মালগাড়িতে বহন করে বাড়িতে নিয়ে ঘরে তুলি। তবে এ রাস্তার কাজ যেভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে তা কত দিন ভালো থাকবে তা এখন ভাবার বিষয়।’

সড়ক নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান তাসা কনস্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাজটি শুরু করে ঈদের আগে শেষ করেছি। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে ভাঙা ও দেবে যাওয়া স্থান বৃষ্টির পরে পুনরায় মেরামত করে দেওয়া হবে।

সরেজমিনে পরিদর্শনকারী উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদ ইকবাল কালের কণ্ঠকে জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। আসলে ওই স্থানের মাটি ও পরিবেশ অনেকটা খারাপ। রাস্তার পাশে অনেক পুকুর রয়েছে। যার ফলে রাস্তার সমস্যা হতে পারে। আর রাস্তার ক্যাপাসিটি ১০ টন। কিন্তু রাস্তা দিয়ে ভারী যান চলাচল করার কারণে রাস্তা ভেঙে যেতে পারে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তবে জামানত হিসেবে আমাদের কাছে ৫ শতাংশ টাকা জমা রয়েছে। এক বছরের মধ্যে রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সে জায়গা মেরামত করে দেবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *