নিউজ ডেষ্ক- এবার ঈদের ছুটিতে হ্রদ, পাহাড় ও মেঘের মিতালি উপভোগ করতে রাঙ্গামাটি এসেছেন পর্যটকরা। এখানকার ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, সুবলং ঝর্ণাসহ সব পর্যটনকেন্দ্রে রয়েছে পর্যটকের সরব পদচারণা। পর্যটকদের আনাগোনায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।
রাউজান থেকে ঘুরতে আসা পল্লবী দাশ বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে এসেছি। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাঙ্গামাটিতে আসা হয়েছিল। তবে এবার আমার বাবারবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে একসঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। রাঙ্গামাটির রূপ প্রতিবারের মতো এবারও মুগ্ধ করেছে।
কুমিল্লা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে আসা মো. ফরিদ বলেন, আমি বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সাজেক গিয়েছিলাম। সেখান থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটিতে এসেছি। রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু ও সুবলং ঝর্ণা দেখেছি। খুবই ভালো লাগলো এবং আবারও আসার ইচ্ছো আছে।
হ্রদের পাড়ে বসে বন্ধুদের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান করছেন ফয়সাল আহম্মেদ। এসময় কথা হলে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা থেকে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে ঈদের ছুটি কাটাতে রাঙ্গামাটি এসেছি। যান্ত্রিক শহরের কোলাহল ছেড়ে এই শান্ত পরিবেশে এসে গান বাজনা হবে না তা কি কখনো হয়? তাই আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে এই শান্ত পরিবেশে গলা ছেড়ে গান করছি। বেশ ভালো লাগছে।
হিল ট্যুরিস্ট গাইড এজেন্সির অপারেটর মো. গালিভ হোসেন জানান, রাঙ্গামাটিতে বাইরে থেকে মোটামুটি পর্যটক এসেছে। আশা করছি, ঈদের তৃতীয় বা চতুর্থদিনে আরও পর্যটকের দেখা মিলবে। আর ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের গাইড হিসেবে কাজ করছে বেশকিছু কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এতে তাদের বাড়তি আয় হচ্ছে।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার মো. রমজান আলী বলেন, মোটামুটি পর্যটক আসছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করছি, সামনে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙ্গামাটি জোনের উপ-পরিদর্শক উৎপল চক্রবর্তী বলেন, আমরা আশা করছি, এই ঈদের ছুটিতে রাঙ্গামাটি জেলায় ১৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে। তাদের নিরাপদ ভ্রমণে কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আশা করছি, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।