নিউজ ডেষ্ক- কর্মব্যস্ততা, ত্বকের যত্নে কালক্ষেপণ, পরিবেশের প্রভাবসহ নানা কারণে আমাদের ত্বক নিস্তেজ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। আবার ঝকঝকে-চকচকে ত্বক সবার কাছেই আরাধ্য। সবাই চায় তার ত্বক যেন গ্লসি হয়। উপায় জানাচ্ছেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের সিইও ও বিউটি এক্সপার্ট শারমিন কচি। লিখেছেন ফাতেমা ইয়াসমীন
৭ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৩০ | পড়া যাবে ৩ মিনিটেপ্রিন্ট
ত্বক তখনই চকচকে দেখায় যখন ত্বক সুস্থ থাকে। ত্বকের ওপরের অংশ যত সুস্থ থাকবে ত্বক তত চকচকে আর সতেজ দেখাবে। এমন ত্বক সবার আলাদা করে নজর কাড়ে। দ্রুত ত্বককে এমন দীপ্তিময় করতে নিয়মমাফিক কিছু কাজ করুন।
দিনে কয়েকবার মুখ ধোয়া
চকচকে ত্বকের প্রথম শর্ত হলো মুখ পরিষ্কার রাখা। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ত্বকের ওপরের ও ভেতরের দুই অংশই পরিষ্কার হয়। এজন্য প্রথমে অয়েল বেসইড কোনো ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর ভালো কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। গরমকাল হলে মুখে কয়েকবার পানির ঝাপটা দিতে হবে। আর শীতকালে মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে
ত্বকের যত্নে ধারাবাহিকতা মানা
ত্বকের যত্নের কিছু ধারাবাহিকতা আছে। এটা মেনে চলতে হবে। ক্লিনজার, ফেসওয়াশ, টোনার, সিরাম, ক্রিম, নাইট ক্রিম, সানস্কিন কখন কোনটার পর কোনটা ব্যবহার করবেন এটা জানা বেশ জরুরি। ক্লিনজিংয়ের পর টোনারটাই ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতির টোনার হিসেবে গোলাপজল বেশ কার্যকরী। গ্রিন-টি দিয়েও টোনারের কাজ চালাতে পারেন। ক্লিনজিং, টোনিংয়ের পর অ্যান্টি-এজিং সিরাম ব্যবহার করা হয়। সিরাম ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ফলে ত্বকে চকচকেতা আসে। সিরামের পর নাইট ক্রিম ব্যবহার করা হয়। দিনে ব্যস্ত থাকলে রাতে এই রুটিন পালন করতে পারেন। সারা রাত পর সকালে ত্বক বেশ সুস্থ দেখাবে। ত্বকের যত্নের উপাদানগুলোর ধারাবাহিকতা থাকলে ত্বক তা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে। তখন ত্বক সুস্থ ও চকচকে দেখায়।
খাবারদাবারে নজর
ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় শুধু খাওয়া আর ঘুমের অনিয়মের কারণে। ত্বকের যত্ন নেওয়ার যাদের সময় নেই তাদের অবশ্যই ঘুম ও খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। চকচকে ও ঝকঝকে ত্বক পেতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পানি পান করলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেরিয়ে যায়। সকালবেলা যদি হালকা গরম পানি খাওয়া যায়, তাহলে আরো ভালো। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করার পাশাপাশি শরীর হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য করে। ফলে মুখে ব্রণ হয় না, সেই সঙ্গে ত্বকও চকচকে থাকে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর হালকা গরম পানিতে পরিমাণমতো মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করলে ত্বক চকচকে হয়। যেকোনো ফল বা সবজির জুসও ত্বকের জন্য খুব ভালো। এতে ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
দুধের সর, ডিমের সাদা অংশ ও মধু
দুধের সর ভালোভাবে ফেটিয়ে তাতে ডিমের সাদা অংশ ও মধু মিশিয়ে মুখে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলে ত্বকে খুব দ্রুত চকচকে ভাব দেখতে পাবেন।
টমেটো ও লেবুর রস
একটা টমেটো পিউরি বানিয়ে এর সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক মুখ, গলা, হাত ও পায়ে লাগাতে পারেন। টমেটো প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচিংয়ের কাজ করে। তাই এটি আপনার রোদে পোড়া স্কিনকে খুব সহজেই সাধারণ স্কিন টোনে ফিরিয়ে আনতে হেল্প করে। আর সেই সঙ্গে স্কিনে এনে দেবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও চকচকে ভাব।