যা করতে চাইবে না কেউ সেই রেকর্ড করলেন বিজয়

খেলা

নিউজ ডেষ্ক-বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছে বৃষ্টি। ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়েই শঙ্কা কাজ করছিল। এরপরও ৪ ওভার কমিয়ে ১৬ ওভারে নেমে আসে খেলা। মাঠে গড়ায় বল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

কিন্তু অবশেষে ‘বিজয়ীর হাসি’ হেসেছে বৃষ্টিই। বাংলাদেশ দল ১৩ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ করলে ফের অঝরে বৃষ্টি নামে। পরিত্যক্ত হয় ম্যাচটি।

অবশ্য এরইমধ্যে অন্যরকম এক রেকর্ড গড়ে ফেলেন এনামুল হক বিজয়। যদিও এমন রেকর্ডে ভাগ বসাতে চাইবেন না কোনো ক্রিকেটার।

শনিবার রাতে ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামানো হয় এনামুল হক বিজয়কে। আর তাতেই বিজয় গড়ে ফেলেছেন সেই রেকর্ড।

রেকর্ডটি হলো – বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা বিরতির পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার তালিকায় প্রথম এখন বিজয়।

শনিবারের আগে সবশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২৯ বছর বয়সি এ ডানহাতি ব্যাটার। প্রায় সাড়ে সাত বছর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের জার্সি পরে মাঠে নেমেছেন তিনি। এর মাঝে দিয়ে বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ৭৯টি ম্যাচ। দেশের আর কোনো ক্রিকেটারের দুই ম্যাচের মাঝে এতো বড় বিরতি নেই।

বিজয়ের আগে এ আক্ষেপের রেকর্ডটি ছিল পেসার আবুল হাসান রাজুর দখলে। ২০১২ সালে অভিষেকের পর চারটি টি-টোয়েন্টি খেলে বাদ পড়েন এ ডানহাতি পেসার। পরে ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেরাদুনে হওয়া সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন এক ম্যাচে। মাঝের সময়ে বাংলাদেশের খেলা টি-টোয়েন্টির সংখ্যা ছিল ৫০টি।

এছাড়া শফিউল ইসলাম ৩৭, নুরুল হাসান সোহান ৩৪, ইমরুল কায়েস ২৭ ও আলআমিন হোসেন ২৭ ম্যাচের বিরতি দিয়ে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে।

আন্তর্জাতিক রেকর্ড থেকে অবশ্য বেশ দূরে আছেন বিজয়। এ তালিকায় সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভন থমাস। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হয় এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। নিজের তৃতীয়তম ম্যাচের পর একাদশে আর সুযোগ হয়নি। চতুর্থ ম্যাচ খেলেছেন গতকাল সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই ডমিনিকায়। এর মধ্যে ১০২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আন্তর্জাতিকে দীর্ঘবিরতির পর শনিবার ব্যাট হাতে নেমে অবশ্য বগ ইনিংস খেলতে পারেননি বিজয়। ৩ বাউন্ডারিতে ১০ বলে ১৬ রান করে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *