নিউজ ডেষ্ক- অবশেষে ফ্রেঞ্চ লিগে নিজের জাদুকরী প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলেন লিওনেল মেসি। করলেন নজরকাড়া একটি গোলও। সেই গোলে ভর করে ঘরের মাঠে লেঁসের সাথে ড্র করলেও ঠিকই লিগ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে প্যারিসের জায়ান্টরা। পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে আগের চার ম্যাচে সাত গোল করা কিলিয়ান এমবাপে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেন। এমবাপের মিসের মাঝেই আক্রমণভাগের আরেক তারকা লিওনেল মেসি উপহার দেন দর্শনীয় একটি গোল, যদিও শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি।
শেষ সময়ে গোল হজম করে হাতছাড়া করল জয়। ড্র করলেও চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ ওয়ানের শিরোপা অবশ্য ঠিকই ঘরে তুলল তারা। গত মৌসুমে লিলের কাছে শিরোপা হারানো পিএসজি আবার ফিরে পেল মুকুট। ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে মার্সেই ও সাঁত এতিয়েনের সবচেয়ে বেশি ১০ শিরোপা জয়ের রেকর্ডও স্পর্শ করল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল পিএসজি। ২৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপে। ডি-বক্সে মেসির শট বাধা পায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে। নেইমারের ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে কাছ থেকে বাইরে মারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর সুযোগ আসে আশরাফ হাকিমির সামনে। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এগিয়ে এসে তার শট রুখে দেন সফরকারী গোলরক্ষক। ৩১তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে মেসির শটও ঠেকান তিনি।
একটু পর আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন চলতি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মারেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। ৩৯তম মিনিটে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে আবারও একইভাবে উড়িয়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটে সুযোগ পায় লেঁস। তবে কয়েক গজ দূর থেকে গোলরক্ষক কেইলর নাভাস বরাবর শট নেন ফরাসি ডিফেন্ডার জোনাথন।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। কাছ থেকে এমবাপের চিপ গোলরক্ষক ঠেকানোর পর ফিরতি বলে ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার ক্রিস্তোফার। ৫৭তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় লেঁস। ডি-বক্সের বাইরে নেইমারকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো। মেসির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে মেসির ওই জাদুকরী গোল। নেইমারের পাস ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক শটে ওপরের কোণা দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। লিগ ওয়ানে ২২ ম্যাচে মেসির চতুর্থ গোল এটি। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার ৩০ ম্যাচে গোল হলো ৯টি।
এ সময় জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল পিএসজি, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে সমতা ফেরায় লেঁস। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান অরক্ষিত ফরাসি ফরোয়ার্ড কোরেন্টিন। এদিকে ৩৪ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৭৮। এক ম্যাচ কম খেলে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।