নিউজ ডেষ্ক- সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে অঙ্গার হওয়া মা ও মেয়েকে আলাদা না করে দাফন করা হয়েছে এক কবরে।
যখন দাফনের জন্য তাদের নেওয়া হয় তখন মার বুকের সাথে মিশে ছিল সন্তানের বুক! এ যেন মা ও মেয়ের জন্ম জন্মান্তরের
এক চির বন্ধন।
শনিবার দুপুরে বরগুনার পোটকাখালীতে শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয় মা ও মেয়েকে। মা ও মেয়ের মরদেহ বহনকারী কফিনটিতে বড় করে লেখা লেখা ছিল ‘মা ও মেয়ের লাশ’। অজ্ঞাতদের প্রথম কবরটিতেই মা ও মেয়ের লাশ দাফন করা হয়।
দাফনে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা মুসা নামে এক যুবক বলেন, “ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এমন করুণ পরিস্থিতি আর কখনোই দেখিনি। বাধ্য হয়ে এক কবরে মা ও মেয়েকে দাফন দিতে হলো। জীবনে প্রথম এমন এক করুণ বিভীষিকাময় সময়ের স্বাক্ষী হয়ে থাকলাম।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “মা ও মেয়েকে জড়ানো অবস্থায় মরদেহ দুটি পাওয়া যায় বলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন আমাদের জানায়। আমরাও ধারণা করছি যে ওই লাশের কফিনে মা ও শিশু মেয়ের লাশ রাখা রয়েছে। যেহেতু তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাই বাধ্য হয়ে এক কবরেই দাফন করা হয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার সময় লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানান। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী সেখানে নামতে পেরেছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, “অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বেঁচে গেছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। লঞ্চটিতে সকল বয়সের প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানায় যাত্রীরা।”