নিউজ ডেষ্ক– বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র্যাবের ছয় কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। একই সাথে তিনি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করেন।
এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বস্তুনিষ্ঠ নয়। তারা অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ আমাদের পুলিশ কখনো কাউকে ক্রস ফায়ার বা বিচার বহির্ভূত কোন হত্যা করে নি। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব ভালোভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করছে।”
কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার উদাহরণ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এদেশে অপরাধীদের মৃত্যুর বড় একটা কারণ, যখন সন্ত্রাসীদের ধরতে যাওয়া হয় তখন তারা আত্নসমর্পণ করে না। তখন আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়। তারপরও পুলিশ গুলি ছুড়লে সেটা তদন্তের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। অর তদন্তে কোনো ধরনের গাফিলতি ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদর নামও রয়েছে। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আন হয় তাকে। অন্য কর্মকর্তারা হলেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।