নিউজ ডেষ্ক– “মহিলা কর্মকর্তা হয়ে বেঁচে গেলেন, অন্য কেউ হলে ঠীকই দেখে নিতাম।”এমন ভাষায় উপজেলার এর নারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে অভিযুক্ত ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার অভিযোগের বিষয়টিকে মিথ্যে বলেন।
সম্প্রতি নারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার ওই অডিওতে কণ্ঠ তার না বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন, “এই কণ্ঠ আমার না, আমার প্রতিপক্ষ এমন কাজ করেছে।”
ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডে শোনা যায় পরশুরাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা নাসরিনকে হুমকি দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল মজুমদার বলেন, “আপনি পরশুরাম এসে নতুন আইন তৈরি করছেন?’ উত্তরে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “স্যার আমি তো কোন আইন তৈরি করিনি।”
এরপর চেয়ারম্যান ক্ষেপে গিয়ে বলেন, “তাহলে কাজটি কে করেছে? আপনি কি করেন সবই আমার জানা আছে। আপনি একজন মহিলা কর্মকর্তা হয়ে বেঁচে গেলেন। কিন্তু অন্য কেউ হলে ঠীকই দেখে নিতাম। আমি ৩০ বছর চেয়ারম্যানি করতেছি। আপনি আমাকে প্রশাসনিক কাজ শিখান?”
তিনি হুমকি দিয়ে আরো বলেন, “এখানে চাকরি করতে হলে আগামীতে হিসাব নিকাশ করে কাজ করবেন, না হয় অনেক কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার জানান, “ভয়েস পরিবর্তন করে পরিকল্পিতভাবে এসব করানো হয়েছে। উপজেলায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমার কোন ধরনের অভিযোগ নেই।”
শিক্ষা খাতের বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দ চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে অনলাইনে ব্যাংকের মাধ্যমে বণ্টন করায় চেয়ারম্যান এমন হুমকি দেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা ফাতেমা নাসরীন জানান, “আমি একজন নারী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে আমার নিজের ক্ষতি হবে। অর্থ সংক্রান্ত কোনো ধরনের অনিয়ম হলে তিনি মাঠপর্যায়ে গিয়ে তদারকি করে দেখতে পারেন।”