নিউজ ডেষ্ক- নওগাঁর বদলগাছীতে ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে ভোটের লড়াইয়ে হারের মুখ দেখে মেম্বার প্রার্থী কিয়ামত আলী। আর হারের পর গ্রামবাসীকে ভূরিভোজের জন্য দেওয়া গরু-ছাগল ফেরত নিলেন কিয়ামত।
স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ওয়ার্ডের মেম্বার পদে ভোটের মাঠে লড়াই করেন ৪জন মেম্বার পদপ্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কিয়ামত আলী। নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল টিউবওয়েল মার্কা।
৮নং ওয়ার্ডের চকমথুর, দরিয়াপুর, রামপুর, ফয়দাবাজ চারটি গ্রামের মধ্যে থেকে ভোট পাওয়ার আশায় আগাম তিনটি গ্রামে ভোটারদের ভূরিভোজের জন্য নির্বাচনের ১৫ দিন আগে ৩টি গরু এবং ৩টি ছাগল ২লক্ষ ৫০হাজার টাকায় কিনে নির্বাচনী এলাকার গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় কর্মী-সমর্থকদের বাড়ির সামনে সেগুলো বেঁধে রাখেন। আর বাঁকি একটি গ্রামের মানুষের দাবি ছিল নির্বাচনে কিয়ামত পাশ করার পর একটি গরু ঐ গ্রামের জনসাধারণকে ভূরিভোজ করার জন্য দিতে হবে।
যেখানে কিয়ামতের শর্ত ছিল, ভোটে পাশ করলে ওয়ার্ডের ভোটাররা তিনটি গরু আর তিনটি ছাগল জবাই করে তারা সবাই ভূরিভোজ করবেন। আর যদি টিউওবয়েল মার্কা প্রতীক নিয়ে কিয়ামত আলী ভোটের লড়াইয়ে ফেল করে, তাহলে মেম্বার প্রার্থী কিয়ামত ভোটারদের দেওয়া গরু-ছাগল ফেরত নিয়ে নিবেন।
যখন এই মেম্বার প্রার্থী জানতে পায় সে ১৮৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছে ঠিক তখনই এই প্রার্থী ভোটারদের দেওয়া গরু-ছাগল রাতের আধারেই ফেরত নিয়ে আসেন তার বাড়িতে।
এ বিষয়ে কিয়ামত আলী জানান, “আমি মথুরাপুর ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে টিউওবয়েল প্রতীক নিয়ে ভোটে দাড়িয়ে ছিলাম, ভোটারেরা আমার কাছে তিনটি গ্রামে তিনটি গরু ও তিনটি ছাগল ভূরিভোজ করার জন্য চায়। আমি যথারীতি গরু-ছাগল ভোটের আগেই তাদের কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু গরু-ছাগল নিয়েও তারা আমাকে ভোট না দেওয়ায় আমি জয়লাভ করিনি। তাই আমি ভোটে হেরে যাবার পর সব গরু-ছাগল নিয়ে চলে এসেছি। বুধবার সতীরহাটে গরুগুলো নিয়ে গিয়ে আমি বিক্রি করেছি।