নিউজ ডেষ্ক-সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর উৎসস্থলে কুশিয়ারা নদীর ডাইক (নদী রক্ষা বাঁধ) ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে সীমান্তবর্তী এ উপজেলায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ভাঙনের ঘটনা ঘটে। এতে এরই মধ্যে উপজেলার ৮ থেকে ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানির তীব্রতায় জকিগঞ্জের অমলসিদে তিন নদীর মোহনায় কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে যায়। সীমান্তবর্তী ভারতের বরাক নদী অমলসিদে দুই ভাগ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সেখানে তিন নদীর মোহনায় কুশিয়ারার ডাইক ভাঙার কারণে উপজেলার ৮ থেকে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডাইকের নিকটবর্তী শীতালং, অমলসিদ, ফিল্লাকান্দি, কামালগঞ্জ, সহিদাবাদ, গঙ্গাজল, শরিফগঞ্জসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। একই সঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে অমলশিদ যাতায়াতের রাস্তাাটিও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বারঠাকুরী গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, তীব্র পাহাড়ি ঢলে ডাইক ভেঙে গেছে। ডাইকের প্রায় ৪০ ফুট ভেঙেছে। এখন ধীরে ধীরে ভাঙন অংশ বড় হচ্ছে।
আজ সকালে ডাইক এলাকা পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, তিন নদীর মোহনায় কুশিয়ারা নদীর মুখে ডাইক আনুমানিক ৫০ ফুটের মতো ভেঙে গেছে। সেখান দিয়ে তীব্র বেগে পানি ঢুকছে। গত দুদিন ধরে কুশিয়ারার পানি কমছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ভাঙনের ফলে পানি ঢুকে করে আমার উপজেলায় আরো ৮ থেকে ১০টি গ্রামে প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা কালের কণ্ঠকে বলেন, অমলসিদে কুশিয়ারার ডাইকের প্রায় ৩০ মিটার (৯০ ফুট) ভেঙে গেছে। সাধারণত একসঙ্গে এত বেশি অংশ ভাঙে না। তিনি আরো বলেন, সেখানে পানির তীব্রতা এতো বেশি যে কুশিয়ারার পানি না কমা পর্যন্ত আপাতত কিছু করার নেই। পানি না কমলে সেখানে কাজ শুরু করা যাবে না।