নিউজ ডেস্ক: ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিআরটিএ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। এতে অংশ নিয়েছেন পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে প্রস্তাবনায় বাসভাড়া গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা, তা বাড়িয়ে ২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এতে কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৫৮ পয়সা গুনতে হবে। ভাড়া বৃদ্ধির এ হার ৪০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, প্রস্তাব হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার। এতে ৭০ পয়সা ভাড়া বাড়বে। বাড়তি ভাড়ার এ শতকরা হার ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এছাড়া মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব হয়েছে। এতে ভাড়া বাড়ে কিলোমিটার প্রতি ৮০ পয়সা। ভাড়া বৃদ্ধির এ হার ৫০ শতাংশ।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এরপরই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। যা এখনো চলছে।
এতে গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।যেখানে যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা ব্যবহার করছে। এতে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।