নিউজ ডেষ্ক- চলতি বছর ভারতে গম উৎপাদন কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
কারণ হিসেবে জানায়, শস্যটির ফলন আসার উপযুক্ত সময়ে আবাদি অঞ্চলগুলোয় হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ কারণে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বছর শেষে দেশটির গম উৎপাদন ১০ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার টনে নামতে পারে, যা আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ গম উৎপাদক। এর আগে দেশটির সংশ্লিষ্টরা চলতি বছরের জন্য ১১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টন গম উৎপাদনের প্রাক্কলন করেছিলেন। উৎপাদন ও সরকারের গম সংগ্রহ ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় নয়াদিল্লি বাধ্য হয়ে শস্যটির রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে।
ব্যবসায়ীদের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছর ভারতের গম উৎপাদন কমে প্রায় ১০ কোটি টনে নামতে পারে। স্পট মার্কেটে নিম্নমুখী সরবরাহের ভিত্তিতে তারা এ প্রাক্কলন করেছেন।
এদিকে ২০২১-২২ মৌসুমের জন্য চাল উৎপাদন পূর্বাভাস বাড়িয়েছে ভারত। উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টন। এর আগের প্রাক্কলনে ১২ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার টন উৎপাদনের কথা বলা হয়েছিল। কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ও চাহিদা বেড়ে যায়। ভারত থেকে রফতানিও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ বাদে ভারত গম রফতানি সীমিত করার ঘোষণা দিলে দেশের পাইকারি বাজারে গমের দাম বাড়ে। যার প্রভাব পড়ে আটা, ময়দার দামে। এর প্রভাবে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়ে যায় পাউরুটি, বিস্কুট, পরোটাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।
শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অন্যান্য বছরের চাহিদা মাথায় রেখে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানি হয়েছে। ভারত থেকে সরকারিভাবে গম আনতে বাধা নেই। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মধুমাসের মৌসুম হওয়ায় এখন দেশি আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, কলা পাওয়া যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে আটা, ময়দার চাহিদা নিম্নমুখী হবে। উদ্বেগের কিছু নেই। যে গমের মূল্য কয়েকদিন আগে মণপ্রতি ১৫৫০-১৬০০ টাকা ছিল, তা এখন ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।