নিউজ ডেষ্ক- এবার হিজাব নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়ের পর ভারতের অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান সংসদ সদস্য আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান মানেই তাকে কুক্ষিগত করে রাখা নয়। মুসলিম নারীদের পোশাক বেছে নেয়ার সাংবাধানিক অধিকার রয়েছে। ওয়াইসি আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি এবং আবারও বলব, আমার জীবদ্দশায় না হলেও পরে একজন হিজাব পরা মুসলিম নারীই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
আজ শুক্রবার ১৪ অক্টোবর ভারতের হায়দ্রাবাদে এক সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, আপনারা যদি হায়দ্রাবাদে আসেন, দেখবেন সবচেয়ে ভয়ংকর চালক আমাদের বোনেরা। তারা এত স্বাচ্ছন্দ্যে গাড়ি চালায় আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। ভয়ে আপনারা কখনোই তাদের পেছনে গাড়ি রাখবেন না। আমি নিজেও আমার চালককে সাবধানে থাকতে বলি। এমন নারীদের কেউ বাধ্য করতে পারবে বলে আপনাদের মনে হয়!
তিনি আরও বলেন, মুসলিম নারীরা তাদের মাথা ঢেকে রাখার অর্থ এই নয় যে, তারা তাদের মনও ঢেকে রাখে। তারা বলে আমরা আমাদের মেয়েদের হুমকি দিচ্ছি। আজকাল কে ভয় পায়?’ ওয়াইসি বলেন, যখন একজন হিন্দু, একজন শিখ এবং একজন খ্রিস্টান ছাত্রকে তাদের ধর্মীয় চিহ্ন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয় এবং একজন মুসলিমকে আটকানো হয়, তখন মুসলিম ছাত্র কী ভাববে? স্পষ্টতই, তারা মনে করবে আমাদের অবস্থান সবার নিচে।
এ সময় ওয়াইসি বলেন, এটা আমার স্বপ্ন। এতে দোষের কী আছে? কিন্তু আপনি বলছেন একজনের হিজাব পরা উচিত নয়। তাহলে কি বিকিনি পরবেন? আপনারও এটা পরার অধিকার আছে। আপনি কেন চান যে আমার মেয়েরা হিজাব খুলে ফেলুক? কেন আপনি চান! যে ইসলাম এবং মুসলিম সংস্কৃতি আমার সাথে না থাকুক।
এদিকে কর্ণাটকের হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পিটিশনগুলো নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিভক্ত রায় দেন। বিচারপতি হেমন্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে মত জানিয়ে আবেদন খারিজ করে দিলেও সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। হিজাব পরার ব্যক্তিগত অধিকারকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।