ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশীর অর্ধেক দামে

বাংলাদেশ

নিউজ ডেষ্ক- বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে দেশীয় পেঁয়াজে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে ভারতীয় পেঁয়াজেরও সরবরাহ বেশ। তবে, আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অনেক কম। আমদানি করা নিন্মমানের পেঁয়াজ দেশীর চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে রাজশাহীর বাজারে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম উঠানামা করতে থাকে। বন্দর দিয়ে সাধারনত ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়। পরে সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে সরবরাহ করে থাকে। সপ্তাহখানেক আগেও বন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা কমে ১৮ থেকে ১৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর বাজারে দেশী পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আমদানি করা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজের পচন ধরে গুদামেই নষ্ট হচ্ছে বেশিরভাগ পেঁয়াজ। পচন ধরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি হিসেবে।

পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বাজারে আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে এসেছে। এর পরেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমের কারণে লোকসান গোনায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজশাহীর যেসব পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে (গুদামে) পেঁয়াজ আছে তাতে পচন ধরার কারণে শীঘ্রই বিক্রি করছেন।

সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর পেঁয়াজ রোপনের মৌসুমে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। পুরাতন পেঁয়াজ বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশের মানুষ বেশি খায়। কিন্তু এখন তো দেশী পেঁয়াজ বাজারে আছে। ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নাই।

এই ব্যবসায়ী আরো জানান, সপ্তাহের শুরুতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৩৫-৪০ টাকা করে। এখন সেই পেঁয়াজের কেজি ৩০-৩৫ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনলে বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। বেশি দামে কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। তাছাড়া আমাদের উপায় নেই। বস্তায় ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ পচছে। অনেক গরমে ফ্যান দিয়ে কোন কাজে আসছে না। ১২ টাকা ১৫ টাকা যে যা দাম বলছে তাতেই নষ্ট পেঁয়াজগুলো বিক্রি করছি। রাখলেই লোকসান।

অন্যদিকে, খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা বলছেন, কয়েকদিনের জন্য চালাক আড়তদাররা মজুদ করে রাখছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হবে। চাষিরা বলছেন, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজির কম বিক্রি করলে তেমন কোন লাভ থাকবে না। উৎপাদন খরচ বেড়েছে কিন্তু দাম বাড়ছে না। এখন পাইকারিতে মানভেদে প্রতিমণ পেঁয়াজ ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *