নিউজ ডেষ্ক- দুবাইয়ে এশিয়া কাপে বৃহস্পতিবার ডু-অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশকে দুই উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে লঙ্কানরা। যেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছেন কুশাল মেন্ডিস। এই ব্যাটারের ব্যাট থেকেই এসেছে ৬০ রান। কিন্তু মেন্ডিস তার এই ইনিংসের জন্য সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা দিতেই পারেন মুশফিককে। কারণ দুই অঙ্কের ঘরে পৌছানোর আগেই মুশফিকের কাছে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
তাসকিনের বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে চলে গেলে ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। ইনিংসের শুরুতেই জীবন পাওয়া মেন্ডিস মুশফিকের ভুলে আরও একবার বেঁচে যান। এবার বোলার ছিলেন অবশ্য এবাদত।
তার বাউন্সার ব্যাটের কানায় লেগে সরাসরি চলে যায় মুশফিকের হাতে। কিন্তু ক্যাচের আপিল করলেও, আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেননি মুশফিক। বলটি যে ব্যাট ছুঁয়ে এসেছে, সেটা বুঝতেই পারেননি তিনি। ফলে মুশফিকের আরও এক ভুলে দ্বিতীয়বারের মতো বেঁচে যান কুশাল মেন্ডিস। এরপর মেন্ডিস আরও কিছু জীবন পেয়েছেন। মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে প্রায় দলের জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিলেন এই ব্যাটার। তিনি যখন প্যাভলিয়নে ফিরছেন তখন লঙ্কানরা বেশ শক্ত অবস্থানই তৈরি করে ফেলেছে। পরে ম্যাচটিও নিজেদের করে নিয়েছে দাসুন শানাকার দল।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছে মেন্ডিসের ওই ক্যাচটি আম্পায়ার নাকচ করে দিলেও বাংলাদেশ কেনো রিভিউ নেয়নি। ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তাকে রিভিউ নেওয়ার কথা বলেনি কেউ। সাকিব বলেন, ‘কেউই শুনেনি আসলে, এখন কি বলব। আমি তো কাভারে ছিলাম। মিড উইকেট, শর্ট মিড উইকেটে যে ছিল কেউই বলেনি যে ভাই নেন রিভিউ। বা রিভিউটা নেওয়া যায় কিনা।’
গেল কয়েক দশক ধরে ক্রিকেট খেলাটা বাঙালির রক্তের সাথে মিশে চলেছে। যদিও সকলের মাথার চেয়ে মনের মধ্যে দিয়ে চলে এ খেলা। তবে এমন ভাবনাতেও পরিবর্তন আনার অঙ্গিকার জানালেন সাকিব। েতিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আবেগপ্রবণ দল। এই একটা জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। খেলাটা মাথা দিয়ে খেলতে হবে, বাড়তি মন দিয়ে নয়।’