বিয়ে নিয়ে অদ্ভুত যত রীতি

ফিচার

নিউজ ডেষ্ক- বিয়ে প্রত্যেক মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শুধু বর কনেই নয় দুটি পরিবারের মিল বন্ধনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। তবে এই দিনটিকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে নানান রীতিনীতি, যা নতুন দম্পতির জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি কারও জানা নেই। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমনই অদ্ভুত কিছু রীতিনীতি-

বিয়ের আগে বর-কনের মুখ দেখা নিষেধ- এই কুসংস্কারের উৎপত্তি কবে বা কোথা থেকে তা কেউই জানে না। তবে ভারতীয়দের বিয়েতে এ রীতি খুবই প্রচলিত। তারা মনে করেন, দম্পতি যদি একে অপরকে বিয়ের আগে দেখে থাকেন তবে তারা বিয়ের বিষয়ে তাদের মন পরিবর্তন করার সময় পাবে।

বিয়ের দিনে বৃষ্টি- অনেকেই মনে করেন বিয়ের দিনে বৃষ্টি হওয়া ভালো একটি বিষয়। যদি কারো বিয়ের দিনে বৃষ্টি হয় তবে এটি স্বর্গ থেকে আসা আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

উপহার হিসেবে ছুরি- অনেকে নব দম্পতিকে কাটলারি সেট উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু বলা হয় যে আপনি যদি এটিতে ছুরি রাখেন তবে আপনাকে দম্পতির কাছ থেকে একটি পয়সা নিয়ে নিতে হবে। উপহার হিসেবে একটি ছুরি তাদের দুর্ভাগ্য কামনা করছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। সুতরাং একটি পয়সা বিনিময় মানে তারা নিজেরাই এটি কিনে নিয়েছে।

কনেকে বহন করা- অনেক ঐতিহ্যে আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে, বাড়ির চৌকাঠ অতিক্রম করার সময় কনেকে বর তার নিজের বাহুতে বহন করে। আর এই প্রথাটি পালন করা হয় অনেক দেশেই। কারণ বিশ্বাস অনুসারে, কনেরা অশুভ আত্মার জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে যখন তারা নতুন একটি জীবনে পা রাখতে যাচ্ছেন।

কান্নাকাটি- সাধারনত বিয়ের সময় কনেকে কাঁদতে দেখা যায়। কারণ তারা তাদের বাবা-মা এবং পরিবার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নতুন এক ঠিকানায়। তবে অনেক দেশেই কান্না একটি ঐতিহ্য, যা কনের জন্য সৌভাগ্য হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়।

গ্লাভসে চিনির কিউব রাখা- খ্রিস্টান বিয়ে রীতিতে সাধারনত নববধূরা গ্লাভস পরে থাকেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয় যেখানে নববধূকে গ্লাভসে একটি চিনির কিউব রেখে দিতে হয়। গ্রিকরা মনে করেন সেই চিনি একসঙ্গে দম্পতির জীবনকে মধুর করে তুলবে।

নববধূকে চিমটি কাটা- মিশরীয় সংস্কৃতি অনুসারে, নারীরা তাদের সৌভাগ্যের জন্য বিয়ের দিনে কনেকে চিমটি কাটে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *