বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলা, যাত্রী হয়রানি চরমে

জাতীয়

নিউজ ডেষ্ক- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী টার্মিনাল-২-এর বাইরের গ্রিল ধরে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাকিব উদ্দীন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তাঁর বড় ভাই আসছেন রিয়াদ থেকে। বিকেল ৩টার পর বিমান অবতরণের কথা থাকলেও বিকেল ৫টায়ও ভাইয়ের দেখা মেলেনি। ভাইসহ সাকিব এসেছেন সেই ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু থেকে।

বিমানবন্দরে সাকিবের মতো হাজারো স্বজনের‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’এখন নিত্যদিনের চিত্র। দেশে ফিরেই বিমানবন্দরে চরম হয়রানির প্রতিনিয়ত শুনাচ্ছেন যাত্রীরা। শুধু বিদেশফেরত যাত্রীরায় নন, বিদেশ গমনের ক্ষেত্রেও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা, যাত্রী হয়রানি ও স্বজনদের ভোগান্তি যেন বেড়েই চলছে। ১০ ডিসেম্বর থেকে রাতের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় এই ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২৭টি এয়ারলাইনসের ১১০ থেকে ১২৮টি ফ্লাইট আস-যাওয়া করে। আর এসব ফ্লাইটে দৈনিক প্রায় ২০ হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে নিয়োজিত বিমানের পর্যাপ্ত পরিমান জনবল ও সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়া বিমানবন্দরে স্থান স্বল্পতা, বোর্ডিং ব্রিজ, বাস-ট্রলির স্বল্পতা, ইমিগ্রেশন ও হেলথ ডেস্কে লোকবলের অভাবে ধাপে ধাপে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।

দুপুর সোয়া ২টায় ফ্লাইট নামলেও লাগেজ পেতে দেরি হওয়ায় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে হয় রিয়াদ ফেরত মো. মফিদুরকে। বিমান বাংলাদেশের এই যাত্রী বলেন, “স্বাস্থ্য ডেস্ক ও ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক ভিড় ছিল। যেখানে ইমিগ্রেশনে লেগেছে ৪৫ মিনিট, অন্যদিকে লাগেজ পেতে লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। বিমান বাংলাদেশের ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিমানের ভাড়াও আগের থেকে বেশি।

বিমানের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, “দিনের বেলায় অনেক বেশী ফ্লাইট নামছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব না। দুই দিন ধরে অনটাইম ডিপার্চার সম্ভব হচ্ছে।”

বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, “রাতে রানওয়ে আট ঘণ্টা বন্ধ থাকায় দিনে চাপ বেড়েছে”।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *