নিউজ ডেষ্ক- মাল্টা একটি বিদেশি ফল। কমলা আর বাতাবি লেবুর সংকরায়ণে এ ফলের সৃষ্টি। রোগির পথ্য হিসেবে মাল্টা হিতকর। খেতে সুস্বাদু। দারুণ গন্ধ। মাল্টায় পুষ্টিতে ভরপুর।
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পুটিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আতিকুর রহমান আতিক মাত্র ১২ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করে লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন। ২০১৯ সালে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে বারি-১ জাতের ৫০০ মাল্টা চারা এনে তার জমিতে লাগান। নিয়মিত যত্ন নেওয়ায় গাছগুলি দ্রুত বেড়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই মাল্টা এসেছে। কয়েকবছর কষ্টের পরে এখন ফল পাচ্ছেন। আশেপাশের অনেক মানুষ তার বাগান দেখতে আসেন। বাগান দেখতে আসা সবাইকেই তার মাল্টা চাষের গল্প শোনান।
আতিকুর রহমান আতিক বলেন, পরিশ্রম ও বিশ্বাসের ফলেই সাফল্য আসতেছে। এ মৌসুমে ১ হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদন হবে বলে ধারনা করছেন। সঠিক দামে বিক্রি করতে পারলে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা আয় হবে। ফলের দাম সারা বছরই ভালো থাকে বলে বিদেশ থেকে ফিরে এসেই মাল্টা চাষ শুরু করেন। মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ এতো বেড়েছে যে তিনি আরেকটি বাগান করতে চান।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, আতিককে অনুস্বরণ করে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এতে জেলায় মাল্টা চাষি বৃদ্ধি পাবে। তারা এই জেলার মাল্টার চাহিদা পূরন করে বিভিন্ন জেলায় মাল্টা সরবরাহ দিবে বলে তিনি আশা করছেন।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মাল্টা একটি অতি সুস্বাদু ফল। এর পুষ্টিগুন খুবই ভালো। এটা খুবই ভালো সংবাদ যে, জেলায় মাল্টার চাষ হচ্ছে। আশা করছি সব চাষিরা মাল্টা চাষে সফল হবে। কৃষি বিভাগ সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে।