নিউজ ডেষ্ক- দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি। দেশে গরীব অসহায়
মানুষের জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল গঠন, সুপ্রিমকোর্টে বিচারক নিয়োগ, ভবন নির্মাণসহ অবকাঠোমো উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছি।’ আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২ তলা-বিশিষ্ট ভবন ‘বিজয়-৭১’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময়য় পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা বসে। তার ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ক্ষমতা বসে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য তাদের দেশে ও বিদেশে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা করে। খুনিদের জন্য
বিচার করা না যায়, সেজন্য জিয়াউর রহমান সে ব্যবস্থা করে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে এরশাদও সংবিধানকে পদদলিত করে ক্ষমতায় এসে দেশে বিচারহীনতা সংস্কৃতি চালু করে। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করি।’ প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে বিচার ব্যবস্থা চালু রাখায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিকভাবে নির্মিত ভবনে এ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থার করেছি। এ ছাড়া হাইকোর্টের মাজার গেটে আধুনিক সুবিধাসহ মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে চাই। আমরা কারও কাছে হাত পাততে রাজি নই। স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে দেশ পরিচালনা করতে চাই।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।