নিউজ ডেষ্ক- বিএনপি ঘুমিয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের যেনতেনভাবে নির্বাচন করার সক্ষমতা আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আন্দোলন হোক আর না হোক শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। বিএনপি ঘুমিয়ে থাকুক বা রাস্তায় নামুক, শেখ হাসিনার আর যেনতেনভাবে নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই।’
বুধবার (১১ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগ সময়ের দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। এজন্য পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। এ অনির্বাচিত সরকারকে সরে যেতে হবে। তারপর নির্বাচনকালীন সরকারের নাম কী হবে ঠিক করা যাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো করে ছাড়বেন- এমন শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেও লুটপাট চলছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ। মাথাপিছু আয় ও জিডিপির গল্প শোনাচ্ছে। অথচ দেশে গণতন্ত্র নেই। দুর্নীতি হচ্ছে শতভাগ সেক্টরে। এক টাকার জিনিসের দাম পাঁচগুণ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বত্র লুটপাট চলছে।’
‘নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ‘আগে নিজেদের দল সামলান। শ্রীলঙ্কার ওয়াসার এমডিকে দেখেছেন? কীভাবে সেদেশের জনগণ তাকে বেঁধে পচা পানি খাইয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং সঞ্চালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান।