বিএনপি করে দেখে চাকরি হচ্ছে না, কোন দেশে আছি আমরা: হারুন

রাজনীতি

নিউজ ডেষ্ক- বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় অনেকের চাকরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তা ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করে দেখে চাকরি হচ্ছে না।

এখানে রাষ্ট্র বৈষম্য করছে। রাষ্ট্র বৈষম্য করলে কী হবে সেটি বিলে বলা নেই। হারুনুর রশিদ বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয় পাবলিক প্লেস নয়। মসজিদে ভিন্ন ধর্মের কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। বিলে বলা হয়েছে ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে না দিলে বৈষম্য হবে, এর ব্যাখ্যা চাই। তিনি বলেন,

শিশুর পরিচয় থাকতে হবে। পিতৃ পরিচয়ে সমস্যা থাকলে মাতৃ পরিচয় থাকতে হবে। নানি-নানা তো থাকবে। এই বিধান থাকলে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। দেশে আইনের শাসন নেই। গুম, খুনের কারণে মানবাধিকার ল’ঙ্ঘিত হচ্ছে।

হারুন বলেন, একটি অ্যাপার্টমেন্টে অনেক মানুষ থাকে। তারা যদি কারও বিষয়ে আপত্তি দেন। তারা যদি মনে করেন কোনো ব্যক্তি থাকলে তাদের সমস্যা হবে, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তিনি বলেন, বিলে বলা হয়েছে, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না।

এসব অনুষ্ঠানের নামে যদি বেলেল্লাপনা হয় তবে কী হবে? কিছুদিন আগে দেখলাম তাপস নামে একজনের মেয়ের বিয়েতে পর্ন তারকা আসল। অনুষ্ঠান করে চলেও গেল। তথ্যমন্ত্রী বললেন, তার আসার অনুমতি নেই। কিন্তু পর্ন তারকা এসে অনুষ্ঠান করে চলে গেল!

পরে হারুনুর রশিদের কথার জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিলটি কমিটিতে গেলে উনি যা যা বললেন তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আবার সংসদে আসবে। আবার আলোচনা হবে। তবুও জবাব দিচ্ছি। তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে তিনি (হারুন) যে উদ্বিগ্ন তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

এমন একটি দলের সদস্য যে দলটি ২১ আগস্ট অন্য দলের সব নেতা-নেত্রীদের এবং জাতির পিতার কন্যাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। চেষ্টা করে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ মালিক। উনি বেঁচে গেছেন। সেই দলের একজন সংসদ সদস্য আমাকে মানবাধিকার শেখাচ্ছেন! আনিসুল হক বলেন, উনার কাছ থেকে আমার মানবাধিকারের শিক্ষা নিতে হবে না।

আমার মানবাধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান আছে। উনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন সময় হলে অবশ্যই জবাব দেবো। এখানে বক্তৃতা দিয়ে তারপর একটা সংকট সৃষ্টি করার যে হুমকি দিলেন উনি, আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আর বোকা নেই। উনাদের এসব কথায় আর কাজ হবে না। উনার প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব আমি দেবো। সময় হলে দেবো।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *