নিউজ ডেষ্ক- বহুল প্রত্যাশিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যান চলাচলের জন্য টঙ্গী স্টেশন রোড ও হাউসবিল্ডিং এলাকার মধ্যে এই ফ্লাইওভারটি আগামী সপ্তাহে আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, “বিআরটি ফ্লাইওভারের একটি অংশ আগামী সপ্তাহে খুলে দেওয়া হবে। এটি টঙ্গী স্টেশন রোড এবং হাউস বিল্ডিংয়ের মধ্যে ২.২ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে।”
ফ্লাইওভারটির পুরো দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিলোমিটার।
তিনি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “৮টি লেনের মধ্যে দুটি ঢাকাগামী লেন সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
আংশিক উদ্বোধনের আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদল ফ্লাইওভার পরিদর্শন করেন।
ফ্লাইওভার পরিদর্শন শেষে নিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সতর্কতার পরামর্শ দেন তারা।
জিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে ফ্লাইওভারের উপরের অংশে যানবাহন কীভাবে চলবে, রেলিং ঘেষে যাতে গাড়ি না চলে, আঁকাবাকা অংশে চালকের সাবধানতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছু পর্যক্ষেণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। আমোদের পক্ষ থেকে সেগুলো সরেজমিনে দেখা হয়েছে। আরও কয়েকদিন পর্যক্ষেণ করা হবে। তারপর আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য ঢাকামুখী লেন খুলে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি খুলে দেওয়া হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের যানজট কমে যাবে। মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের ও অন্যান্য নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।”
বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ২০১২ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল।২০৩৭.৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে, বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের সময়সীমা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় এ বছরের ডিসেম্বর। প্রকল্পের ব্যয় এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৮.৩ কোটি টাকা।
আবারও সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ
শফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৮০% নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, তবে বাকি কাজ শেষ করতে এক বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, “আমরা প্রকল্পের বাকি ২০% শেষ করার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, জুনের মধ্যে বিআরটি সার্ভিস চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিআরটি সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় ২৬৮.১৩ কোটি টাকা বেড়ে ৪,৫৩৬.৪৬ কোটি টাকা হবে।
গত ১৫ আগস্ট উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পর নির্মাণের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবের কারণে বিআরটি প্রকল্পটি সমালোচনার সম্মুখীন হয়। সরকারি তদন্তে