নিউজ ডেষ্ক- অল্প পুঁজিতে ও অল্প স্থানে অল্প পরিশ্রম করেই অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ। এদিকে ভৈরব উপজেলার শিবপুর, শম্ভুপুর ও কৃষ্ণনগরসহ শহরে বিভিন্ন গ্রামে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়ছে এই এলাকার বেকার যুবকেরা।
জানাগেছে, ভৈরবের শম্ভুপুর গ্রামের রায়হান দেড় লাখ টাকায় ৭ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৪টি ট্যাঙ্ক তৈরি করে তেলাপিয়া চাষ করে মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে সব খরচ বাদ দিয়ে ৩ লাখ টাকা টাকা আয় করেন। তার এই সাফল্য দেখে আগ্রহী হয়ে উঠে অনেকে। ফলে রায়হানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহায়তায় নিয়ে অন্তত অর্ধশত যুবক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে।
বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে অধিক খাবার দিতে হয় না। প্রাথমিকভাবে মাছকে যে খাবার দেয়া হয়, তার ২৫ ভাগ মাছ গ্রহণ করে। আর ৭৫ ভাগ বর্জ্যে পরিণত হয়ে ভেক্টরিয়ার মাধ্যমে ফ্লগে পরিণত হয়। পরে সেগুলো আবার মাছের খাবার হিসেবে তৈরি হয়। যার ফলে পুকুরের চেয়ে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ অনেক কম।
ভৈরব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান জানান, ভৈরবে সাধারণত ভূমির পরিমাণ খুব কম। তাই, প্রযুক্তিগত ভাবে মাছ চাষ করলে যেমন এলাকার মাছের চাহিদা মিটাবে। তেমনি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বা স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবেন।