বাৎসরিক আয় ৪ লাখ টাকা, খেজুরের চারা উৎপাদনে সফল সোলায়মান!

উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প breaking photo-gallery

নিউজ ডেষ্ক- দেশে দিন দিন আরব খেজুরের বাগান জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিভিন্ন জেলার মানুষ মরুভূমির এই খেজুর চাষে ঝুঁকছেন। এতে কমছে বেকারত্ব এবং বাড়ছে কর্মসংস্থান। কৃষকদের পাশাপাশি তরুণ যুবকরাও খেজুর বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন। ভালো ফলন আর দামে আয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামের সোলায়মান খান সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে বছরে ৪-৫ লাখ টাকা আয় করছেন। চারা রোপনের পর পূর্ণ ফল পাওয়ার জন্য তাকে ৩ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ইউটিউবে খেজুরের বাগান দেখে নিজে বাগান করতে আগ্রহী হন। ২০১৯ সালের মে মাসে বন্ধুর মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে রংপুর, গাজীপুর, নরসিংদী থেকেও সৌদির খেজুরের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে রোপণ করেন তিনি। প্রায় ২ বিঘা জমিতে ১০০ টি খেজুরের চারা রোপন করেন। বাগান করতে তার ৪ লাখ টাকা খরচ হয়। ৩ বছর পর কয়েকটি গাছে ফল আসে। সেখান থেকে খেজুর বিক্রি করছেন এবং নার্সারী করে চারা বিক্রি শুরু করেন। বর্তমানে খেজুর ও চারা নিয়মিত বিক্রি করছেন। তার বাগানের খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন তার খেজুর ও চারার চাহিদা বাড়ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা পেয়েছেন সোলায়মান। তার গাছের খেজুর মিষ্টি। তাকে দেখে অনেকেই বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে আসছে খেজুর ও চারা কিনতে এবং বাগান দেখতে।
এ ব্যাপারে সোলায়মান খান বলেন, এখন খেজুর বাগান থেকে বাৎসরিক আয় হচ্ছে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।

সোলায়মান বলেন, প্রথম ৩টি গাছে খেজুর ধরে। এবার ১৩-১৪টি গাছে খেজুর ধরেছে। এবার সব গাছের খেজুর গাছে থাকা অবস্থায়ই ঢাকার এক ক্রেতার কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। পাকার পর ওই ক্রেতা খেজুরগুলো নিয়ে যাবেন।

এদিকে সাইজ ভেদে ১-২ হাজার টাকা করে একেকটি চারা বিক্রি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত খেজুরের চেয়ে চারা বেশি বিক্রি করেছেন।

নাগেরপাড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, আমাদের সোলায়মান সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে সফল হয়েছে। অনেকেই তাকে দেখে খেজুরের বাগান করতে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে দেশে আয় বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *