নিউজ ডেষ্ক- সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৯ নং পিলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে আবুল শিকদার (৪৫) নামের একজন নিখোঁজ রয়েছেন। পিলারে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে ভেতরে থাকা তিনজন সাঁতরে পারে আসলেও একজন উঠতে পারেননি। নিখোঁজ আবুল শিকদার মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামের রহিম সিকদারের ছেলে। আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর আনসার আব্দুর রহমান বলেন, নদীতে পানি বাড়ছে। প্রবল স্রোতের কারণে বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের ৯নং পিলারের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে সাথে সাথেই বালুবোঝাই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডে থাকা তিনজন সাঁতরে পারে উঠে আসেন। তবে তারা জানান, বাল্কহেডে এখনও একজন রয়েছেন। এই আনসার সদস্য আরও জানান, দুর্ঘটনার পর নৌ-পুলিশকে ফোন করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে বেঁচে ফেরা মো. খলিলুর রহমান জানান, তারা সিরাজগঞ্জ হাজী সাত্তারের বালুমহাল থেকে বালু ভর্তি করে বাল্কহেডটি নিয়ে মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। নদীতে অতিরিক্ত স্রোত থাকায় পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি বলেও জানান খলিলুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, আমরা বিষয়টির খোঁজ নিয়েছি। সাত নম্বর পিলারের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাল্কহেডটি ৯ নম্বর পিলারের কাছে গেলে পরে আর বের হয়নি। পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি তলিয়ে যায়। তবে সেতুর নিচ দিয়ে ভারী বাল্কহেড চলাচলের কোনো নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বাল্কহেড ডুবেছে কি না সেটা আমরা দেখবো। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা না দেখে তারা অন্য বিষয় দেখুক।