নিউজ ডেষ্ক- চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তার। বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন মানবিক ও্ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার ব্যাপক ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই বন্যা কবলিত এলাকাতেই অবস্থান করছেন এই যুবক। সেখানে বানভাসী মানুষদের জন্য শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য দিয়ে পাশে থাকছেন। নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বন্যার্তদের পাশে থাকছেন ফারাজ। ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্য পাঠিয়েছেন তার কাছে। সেই সাহায্যর টাকা দিয়ে খাবার কিনে অসহায় মানুষদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন তিনি।
এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে ডুবে আছে সুনামগঞ্জ। বিশেষ করে ছাতক ও তাহিরপুর উপজেলার অনেক বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যা কবলিত সেই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ জুন) এক ফেসবুক ভিডিও বার্তায় ফারাজ চৌধুরী জানান, বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর গ্রামের বাড়ি-ঘর সব বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কিছু বাকি নেই। সুতরাং এক আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঘোষণা দিলাম- সেই গ্রামটা আমি পুরোপুরি আবার নতুন করে বানাবো ইনশাআল্লাহ। তার মানে, গ্রামের ১টা-২টা, ৩টা-১০টা, ৩০-৪০-৫০-৮০ আর ১০০টা না, ২০০, ৩০০, ৪০০ কিংবা ৫০০ টা বাসাও যদি লাগে পুরো গ্রামটা আমরা বানাবো ইনশাআল্লাহ। কেমনে বানাবো, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে। আপনারা আমার সাথে আছেন, মুরুব্বীদের দোয়া আছে, ইনশাআল্লাহ আমি পারবো। আমরা পারবো’।
ফারাজ করিম চৌধুরীর এ বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। একের পর এক ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে দেশেজুড়ে তিনি অর্জন করেছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।
২০১৩ সালে কিংস কলেজ লন্ডন থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট শেষ করে ২০১৫ সালে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে দেশে আসেন এ তরুণ। তখন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বেশ পরিচিতি পান। দেশের বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চপর্যায়ে চাকরির সুযোগ থাকলেও সে পথে পা বাড়াননি ফারাজ। বর্তমানে ক্লিন ইমেজের তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।