নিউজ ডেষ্ক- সিলগালা ঠিক আছে, অথচ বন্ধ ওয়াগন থেকে উধাও হয়েছে প্রায় আড়াই টন গম। এমন রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডের একটি ওয়াগন থেকে। আজ বুধবার (২ মার্চ) সকালে খালাস শ্রমিকরা কাজে এসে ওয়াগন খুলে ওই দৃশ্য দেখতে পান।
খুলনার গম ব্যবসায়ী এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা গত শুক্রবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) থেকে এক হাজার ৩৫০ টন গম সৈয়দপুরে নিয়ে আসেন। এসব গম সৈয়দপুরের সরকারি খাদ্য গুদামে স্থানান্তরের কাজ চলছে। ৩০টি মালবাহী ওয়াগনে আনা হয় এসব গম। প্রতিটি ওয়াগনে কমপক্ষে ৪৫ টন গম পরিবহন হয়ে থাকে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে মোজাফফর রশিদীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বুধবার সকালে শ্রমিকরা পণ্য আনলোড করতে আসেন। এসময় সবার উপস্থিতিতে ওয়াগনের সিল খুলে দেখা যায়, এর ভেতর থেকে প্রায় আড়াই টন গম উধাও হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাতেই স্টেশন এলাকা থেকে ওই গম চুরি হয়েছে। ওয়াগনের দরজার নিচে চাকু ঢুকিয়ে অভিনব কায়দায় গম চুরি হয় বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় তিনি চরম উদ্বেগে পড়েছেন।
চুরির ঘটনা সম্পর্কে সৈয়দপুর রেলওয়ে মাস্টার শওকত আলী জানান, স্টেশন এলাকাটি নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে চিহ্নিত। ইয়ার্ডের পাশেই রয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা। এত নিরাপত্তা ভেদ করে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে না। তিনি পাল্টা আশঙ্কা করে বলেন, গম চুরির ঘটনাটি স্টেশনের বাইরে ঘটতে পারে।
এনিয়ে ঘটনাস্থলে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক। সিলগালা ঠিক আছে, অথচ ওয়াগনের ভেতর থেকে গম চুরি গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেল স্টেশনে মালামাল খালাসের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ট্যান্ডেল (সর্দার) জিকরুল হক জানান, ওয়াগনে পরিবহনকৃত মালামাল সরকারি পরিমাপক দিয়ে ওজন করা হয়। এতে ওয়াগনে পণ্য কম থাকলে তা অবশ্যই বোঝা যাবে। চুরির ঘটনা সত্য বলে জানান তিনি। অতীতে রেল স্টেশনের এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।