বছরে আয় ২ লাখ টাকা, ছাগল পালনে ভাগ্য বদল ভোলার বিলকিস বেগমের!

উদ্দোক্তা ও সাফল্যের গল্প

নিউজ ডেষ্ক- বিলকিস বেগম ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুলাতুলি গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মো. ছাদেক চৌকিদারের স্ত্রী। স্বামীর কাছে বায়না ধরলে ধারদেনা করে ১টি ছাগল কিনে দেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ছাগল পালন করে ২ লাখ আয় করেন বিলকিস।

জানা যায়, ১টি ছাগল লালন পালন করে শুরু করেও বর্তমানে খামারে ২০টি ছাগল রয়েছে। বর্তমানে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০টি ছাগল বিক্রি করে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় করেন বিলকিস বেগম। এখনও তার খামারে ছোট বড় মিলে ২০টি ছাগল রয়েছে।

বিলকিস বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী মো. ছাদেক দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। এরপর একদিন তিনি স্বামীকে একটি ছাগল কিনে দিতে অনুরোধ করেন। পরে তার স্বামী ধারদেনা করে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা বাজার থেকে একটি ছাগল কিনে দেন। সংসারের পাশাপাশি ছাগলটি লালন-পালন করতে থাকি।

তিনি আরও বলেন, ৩/৪ মাস পর ছাগলটি ২টি বাচ্চা দেয়। এর ৬ মাস পরে আরও ২টি বাচ্চা জন্ম দেয় ছাগলটি। এভাবে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। অন্যদিকে একের পর ১ ছাগল বিক্রি করতে থাকি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

বিলকিস বেগমের স্বামী মো. ছাদেক বলেন, প্রায় ১২ বছর আগের কথা। আমার স্ত্রীর অনুরোধ করে আমাকে বলে, আমরা তো অনেক অভাবে আছি। আমাকেও একটা ছাগলের বাচ্চা কিনে এনে দেন। দেখি অভাব দূর করতো পারি কি না। তখন তার কথামতো ধার করে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনে এনে দেই। বর্তমানে আমার সংসার কোনো অভাব নেই। আমরা অনেক ভালো আছি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু মুছা বলেন, আমরা ছোটবেলায় দেখেছি বিলকিল বেগমের সংসার অনেক কষ্টে চলতো। ছাগল পালা শুরু করার পর থেকে তার অবস্থা ভালো হতে শুরু করেছে। বর্তমানে তার সংসার কোনো অভাব নেই।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, বিলকিস বেগমের মতো জেলার অনেক নারী-পুরুষ ছাগল পালন করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ তাদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *