নিউজ ডেষ্ক- মাল্টা চাষ করে স্ববলম্বী হয়েছেন কুরিগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের আবু রায়হান ফারুক। উচ্চশিক্ষা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে সমন্বিত ফলের বাগান করে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকরা সমন্বিত ফলেব বাগানে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৫ বিঘা জমিতে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান করেন রায়হান। তার বাগানে মাল্টাসহ পেপেঁ, আমা, কমলা, পেয়ারা, ড্রাগন, আঙুগসহ বিভিন্ন সবজির গাছ রয়েছে। তাছাড়া কীটনাশক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে ফুড প্যাক দিয়ে মোড়ানো হয়েছে মাল্টাগুলোকে।
আবু রায়হান ফারুক বলেন, ছোট থেকেই আমার গাছের প্রতি ভালোবাসা ও ইউটিউব দেখে মাল্টা চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমার বাগানে বিভিন্ন জাতের মাল্টাগাছ আছে। এর মধ্যে ৩টি জাত দিয়ে বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করছি। পাইকাররা বাগান থেকে মাল্টা প্রতি মণ ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় কিনছেন। শুরু করার দ্বিতীয় বছরে ২ টন আর গত বছরে ৪ টন মাল্টা বিক্রি করেছি।
তিনি আরও বলেন, পেঁপে বিক্রি করছি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ ও পেয়ারা ১ হাজার ২০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। চাকরি পিছনে না ঘুরে আমি মিশ্র ফলে বাগান করে আজ স্ববলম্বী হয়েছি। আমি চাই আমার মত বেকার না ঘরে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হতে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ্দিন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় কৃষকরা বিক্ষিপ্তভাবে মাল্টা চাষ করেছেন। গত মৌসুমে জেলায় ৯ মেট্রিক টনের বেশি মাল্টা চাষ হয়েছিল এ মৌসুমে মাল্টা চাষ আরও সম্প্রসারণ হওয়ায় জেলাজুড়ে ১৪ থেকে ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে।