বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর মন্তব্য স্থানীয় মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এক ঘোরোয়া বৈঠকে মেয়র আব্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ হবে, তাই আমি ডিজাইন থেকে ওনার ছবি বলেছি। গতকাল (সোমবার) রাতে মেয়র আব্বাস একটি ঘোরোয়া বৈঠকে রাজশাহী-ঢাকা মহাহাসড়কের কাটাখালি পৌরসভার অংশের উন্নয়নকাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন। এমনকি এসময় তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদ্য মনোনীত প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা যায়।
তবে এ বিষয়ে মেয়র আব্বাস বলেন, তিনি এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি। কেউ ওনার নামে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এর বাইরে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গতকাল (সোমবার) রাত থেকে মেয়র আব্বাসের এমন দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে। ইতিমধ্যে গাজিপুরের মেয়রের মতো কাটাখালি পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছেন অনেকে।
১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের সেই অডিও ক্লিপে মেয়র আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, “ওই গেটটি খুভ শীঘ্রই নির্মাণ হবে। তবে আমরা যে ফার্মে কাজটি দিয়েছি, তারা গেটের ওপরে বঙ্গববন্ধুর যে ম্যুরাল বসানোর ডিজাইন দিয়েছে, সেটি ইসলামীর দৃষ্টিতে ঠিক না। তাই আমি সেটিকে বাদ দিতে বলেছি।”
তিনি আরও আরও বলেন, “হাইওয়েটাকে আমরা ডিজাইন করতে দিয়েছি। আমাদের যে অংশটা হাইওয়ে। সিটিগেট থেকে আমার অংশ। টোটালই একটা ফার্মকে দিয়েছি যে, তারা একদম বিদেশি স্টাইলে সাজায়ে দিবে ফুটপাত, সাইকেল লেন- টোটাল আমার অংশটা।:”
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “মেয়র আব্বাস যদি এই ধরনের কথা বলেই থাকেন, তবে তিনি দলে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করবে এটা মেনে নেওয়া যাবে না।