নিউজ ডেষ্ক- আজ রাজধানীর বাজারে চড়া প্রায় সব পণ্যের দাম। কাঁচাবাজার থেকে একটি পরিবারের যা যা কিনতে হয়, তার প্রায় সবকিছুর দামই আরেক দফা বেড়েছে। এ তালিকায় যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা আছে, তেমনি রয়েছে সবজি, ডিম ও মুরগির দাম। খাদ্যসহ সব নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। মুরগীর দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
আর আমিষের প্রধান উৎস ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০ টাকা। এ ছাড়া কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বাজার এখন অস্বস্তির এক নাম। প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দামই সেখানে চড়া। এই বাড়তি দাম সেসব সীমিত আয়ের মানুষের ওপর নতুন আঘাত, যারা ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতিতে নাকাল। এর আগে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছিল। এবার ব্যবসায়ীরা সামনে আনছেন ট্রাকভাড়া বেড়ে যাওয়া এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে। তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানোর প্রভাব কাঁচাবাজারে পড়েছে। আগামী দিনগুলোয় শিল্পপণ্যের দামেও প্রভাব পড়তে পারে।
দাম কতটা বেড়েছে, তা দেখা যায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকায়ই। টিসিবি প্রতিদিন ঢাকার নয়টি বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দাম সংগ্রহ করার পর প্রতিবেদন তৈরি করে তা মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠায়। সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে, ৪ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দাম বেড়েছে সব ধরনের চাল, ডাল, আটা, ময়দা, বোতলজাত সয়াবিন তেল, চিনি, রসুন, দেশি পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির। কমেছে শুধু খোলা সয়াবিন তেল ও হলুদের দাম।
গত সপ্তাহে যে সাধারণ মানের মিনিকেট চাল ৬৬-৬৭ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে, সেটিও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। নাজিরশাইল ও মিলছে না ৮০ টাকার নিচে। স্বস্তি নেই মোটা চালেও। কিনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে। বাড়তি দামের জন্য সরবরাহ কমা এবং পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন বিক্রেতারা। আর এসবের চাপ একত্রে পড়ছে ক্রেতাদের ওপর। আমিষের প্রধান উৎস ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের দামেও ঊর্ধ্বগতি। গত সপ্তাহের ১৭০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগী এখন ২০০ টাকা। সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০০ টাকা।
সেই সাথে দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগীর ডিমের। এক ডজন ডিমের জন্য গুণতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর খুচরায় প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকায়। সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বাড়তি। আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বেগুন, পটল, করলা মিলছে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁচামরিচের দাম আরো বেড়েছে। এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।