নিউজ ডেষ্ক- ফের ১৫ শতাংশ কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই দাম কমেছে। বিজনেস রেকর্ডার জানিয়েছে, গত মার্চের পর এবারই সর্বোচ্চ কমল পণ্যটির বাজারদর।
কারন হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত সয়াবিন তেলের দাম কমে যাওয়া ও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
তথ্য বলছে, বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বর সরবরাহ চুক্তিতে বাজার আদর্শ পাম অয়েলের দাম ৮৮ রিঙ্গিত বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৬ রিঙ্গিতে (১ হাজার ৫৮ ডলার ১৮ সেন্ট)। কার্যদিবসের শুরুতে পণ্যটির দাম ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এদিকে চলতি পাম অয়েলের দাম ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ পণ্যটির দাম কমল।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ১-২০ জুন পর্যন্ত দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন গত মাসের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। যেখানে পাম অয়েলের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ৷
শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া রফতানি শুল্ক কমিয়ে আনায় মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা বিক্রি কমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যমান পাম রফতানি শুল্ক সর্বোচ্চ ৩৭৫ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া রফতানি বৃদ্ধি প্রোগ্রামের জন্য বিশেষ রেটও নির্ধারণ করা হয়।
১৬ জুন একদিনের ব্যবধানে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ২ শতাংশ কমেছে। বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ১৩৪ রিঙ্গিত বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। কার্যদিবসের মাঝামাঝিতে প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৩ ডলার ২০ সেন্টে। ছয় অধিবেশনের পাঁচটিতেই দাম কমেছে, যা ৫ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, নতুন শুল্কহার মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাম অয়েল রফতানিতে এ হারেই শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে ১ আগস্ট থেকে সর্বোচ্চ রফতানি শুল্ক বাড়িয়ে টনপ্রতি ২৪০ ডলারে উন্নীত করা হবে। এ সময় প্রতি টন পাম অয়েলের রেফারেন্স দাম ১ হাজার ৫০০ ডলারে অবস্থান করবে।