নিউজ ডেষ্ক- রৌদ্রজ্জল পতিত জমি বা পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জমিতে চাষ করতে পারেন ডাল জাতীয় ফসল ফেলন। সেচ ছাড়াই চাষ করার সুবিধা রয়েছে। উপরুন্ত বাজারে প্রতি কেজি ফেলন ডাল বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তাই লাভজনক ফেলনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিই।
মাটি
বেলে দোআঁশ থেকে এটেল দোআঁশ মাটিতে ফেলন চাষ করা যায়। জমি উঁচু ও মাঝারি উঁচু নিকাশযুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পানি জমলে ফেলন গাছ মারা যায়, জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারেনা।
জমি তৈরি
৩-৪ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরা করতে হবে। তেমন ঝুরঝুরা না হলেও সমস্যা নেই। বীজ মাটির মধ্যে প্রবেশ করালেই গাছ গজিয়ে যায়।
বীজ প্রধানত ছিটিয়ে বপন করা হয়। সারিতে বপন করলে সারি থেকে সারির দূরতব ৩০-৪০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছ ১০ সেমি রাখতে হবে। সাধারণত সারিতে না করলেও সমস্যা নেই। সময় স্বল্পতা থাকলে ছিঁটিয়ে বীজ রোপন করতে পারেন।
বপনের সময়
অগ্রহায়ণ (মধ্য-নভেম্বর থেকে মধ্য-ডিসেম্বর)।
বীজের হার
৪০-৫০ কেজি/হেক্টর।
সারের পরিমাণ
জমিতে নিমণরূপ সার ব্যবহার করতে হবে।
সারের নাম সারের পরিমাণ/হেক্টর
ইউরিয়া ২০-৩০ কেজি
টিএসপি ৪০-৪৫ কেজি
এমপি ২০-৩০ কেজি
অণুজীব সার ৪-৫ কেজি।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
শেষ চাষের সময় সমুদয় সার ব্যবহার করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা
বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে একবার আগাছা দমন করা প্রয়োজন। সাধারণত ফেলনের জমিতে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে গাছে শিম আসার সময় একটি সেচ দিতে পারলে ভাল ফলন হয়।
ফসল সংগ্রহ
মধ্য-চৈত্র থেকে শেষ সপ্তাহ (মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম)
গুদামজাত ডালের পোকা ব্যবস্থাপনা
পূর্ণবয়স্ক পোকা ও কীড়া উভয়ই গুদামজাত ডালের ক্ষতি করে থাকে।ক্ষতির নমুনা: এ পোকা ডালের খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে শাঁস খেতে থাকে। ফলে দানা হাল্কা হয়ে যায়। এর ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।
গুদামজাত করার আগে দানা ভালভাবে পরিষ্কার করতে হয়। ডালের দানা শুকিয়ে পানির পরিমান ১২% এর নিচে আনতে হবে। বীজের জন্য টন প্রতি ৩০০ গ্রাম ম্যালাথিয়ন বা সেভিন ১০% গুড়া মিশিয়ে পোকার আক্রমণ প্রতিরোদ করা যায়। ফসটক্সিন ট্যাবলেট ২টি বড়ি প্রতি ১০০ কেজি গুদামজাত ডালে ব্যবহার করতে হয়। এ বড়ি আবদ্ধ পরিবেশে ব্যবহার করতে হয়।