নিউজ ডেষ্ক- গ্রীষ্মকালীন উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভার বলা হয়েছে, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির অংশ হিসেবে কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে।
সংশ্নিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেঁয়াজের বাজার বেশ অস্থির। এ নিয়ে সরকারকে পরতে হচ্ছে নানা সমালোচনার মধ্যে। এ জন্য সরকার পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ অন্যতম। কৃষকরা যাতে বাড়িতে পেঁয়াজ রাখার জন্য আলাদা ঘর তৈরি করেন, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এজন্য কৃষকদের প্রণোদনা দেবে সরকার। সরকার মনে করছে, দেশে পেঁয়াজের চাষ বাড়ানো গেলে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ সম্ভব হলে এবং কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষণ সময় বাড়ানো গেলে সংকট কেটে যাবে।
ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রতিবছর ২৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টন উৎপাদন হয়। কিন্তু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পর্যায়ে নষ্ট হওয়ার কারণে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।
উল্লেখ্য, দেশে যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তার ২৫ শতাংশ উৎপাদন ও সংরক্ষণ পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর পরিবহন, বাজারজাতকরণেও কিছু নষ্ট হয়। ফলে দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আমদানির বড় অংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। ভারতে দাম বেড়ে গেলে, দেশের বাজারেও এর প্রভাব পরে। গত তিন বছর ধরে এমনটাই হচ্ছে। চীন, তুরস্ক, মিয়ানমার, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেও বাজার সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।