নিউজ ডেস্ক: পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে গেছে, তাই ব্যবহার বন্ধে জেলা প্রশাসকদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বস্ত্র ও পাট, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বস্ত্র খাত থেকে এখন প্রধান রপ্তানি আয় হয়। পাট খাত অনেক নিচে ছিল। মহামারির সময় এটি চামড়া খাতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। পৃথিবীব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ফাইবার ডেসক্রাইব করছে, ফলে বিশ্বে পাটের ব্যবহার বেড়ে গেছে, পলিথিন বাদে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। আমাদের রপ্তানি বেড়ে গেছে। পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালে পাটখাত থেকে সব থেকে বেশি আয় ছিল। পলিথিন আসার পর সেই বাজার পরে যায়, এখন এটা আবার আসছে। আমার মনে হয় বস্ত্র ও পাটখাতে রপ্তানি করতে পারলে আমাদের অর্থনীতি আরও বড় হবে।
পলিথিন বন্ধে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে পাট মন্ত্রী বলেন, পলিথিন বেড়ে গেছে, ডিসিদের বলেছি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য। উপজেলায় প্রতি মাসে দু’টি করে এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে মাসে অন্তত একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। যতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হয়।
তিনি বলেন, পাটকলগুলো বন্ধ করে লিজ পদ্ধতিতে যাব। বেসরকারি খাতের হাতে ম্যানেজমেন্ট থাকবে। পাঁচটি টেন্ডার করেছি, মাসে খানেকের মধ্যে বুঝিয়ে দেবো। আমরা সহযোগিতা চেয়েছি মোবাইল কোর্ট করতে।
এছাড়া ১৯টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। বিষয়টি ঠিকমত মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ও থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।