পরিচয় ‘মিললে’ও মামলায় নাম রাখা হয়নি অস্ত্রধারীদের

বাংলাদেশ

নিউজ ডেষ্ক- সিরাজগঞ্জ শহরের কাটাখালি সেতু এলাকায় গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে তিনজনের হাতে পিস্তল এবং কয়েকজনকে রামদা হাতে প্রকাশ্যে দেখা যায়। আর ঐ দিনের ঘটনার একাধিক ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে অস্ত্রধারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একাধিক সূত্র।

যদিও বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া ভিডিও এবং ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে, কেউ যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা জানান, অস্ত্রধারীদের কেউই তাদের দলের লোক নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ শহরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এ সংঘর্ষ সংঘঠিত হয়। এতে কেও নিহত না হলেও আহত হন যুবলীগ ও বিএনপির অন্তত ৮৫ নেতাকর্মী। আর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে মোট চারটি।

এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি এবং শহরের রেল কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগকর্মী উজ্জ্বল হোসেন বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা যায়। যেখানে আসামি করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহসভাপতি আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানাসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৭শ জনকে। তবে অস্ত্রধারীদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেলেও আসামির তালিকায় তাদের কারও নাম দেখা যায় নি। এমনকি পুলিশ কোন আসামিকেই এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, “শহরে বিভিন্ন মোড় ও স্পর্শকাতর স্থানে পুলিশের ৯৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। পাঁচটি স্থানে সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের জ্ঞাত-অজ্ঞাত প্রায় সাত শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে হেলমেট পরিহিত থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ ও প্রকাশিত সংবাদপত্রের ছবি দেখে অস্ত্রধারীদের খুঁজছে স্থানীয় পুলিশ। তারা যে দলেরই হোক না কেন, পুলিশ ঠিকই খুঁজে বের করবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *