নিউজ ডেষ্ক- জ্বালানিসংকট মধ্যে আছি। আরও ভয়াবহ সংকটের দিকে যাবো। আমরা খাদের কিনারায় এসে গিয়েছি, জানি না এর পরিণতি কী হবে বলেছেন সুশাসনের জন্য
নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে
এ কথা বলেন। বৈঠকে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট : নাগরিক ভাবনা’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম।
এসময় বক্তারা ভবিষ্যতে দেশে জ্বালানিসংকট আরো তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ সংকট মোকাবেলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন তাঁরা।
আলম মজুমদার বলেন, আমরা সংকটের মধ্যে আছি। আরও ভয়াবহ সংকটের দিকে যাবো। আমরা খাদের কিনারায় এসে গিয়েছি, জানি না এর পরিণতি কী হবে। দেশে এখন চলছে ভাই-ব্রাদার তন্ত্র। সেই সঙ্গে আছে মতলববাজির উন্নয়ন। যার মধ্যে আমরা নিপতিত হয়েছি। আমরা আরও কয়েকটা গোলটেবিলের আয়োজন করবো। যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিষয়ে আমরা তুলে ধরবো।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলএনজি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি দ্রুত থেমে যাবে না বরং ইউরোপিয়ান দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস না পাওয়ার ফলে এলএনজি বাজারে নামছে, এর ফলে দাম বাড়া অবশ্যম্ভাবী। দীর্ঘমেয়াদে এলএনজির ওপর অধিকতর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশকে আর্থিক সংকটে ফেলবে। এ সংকট মোকাবেলায় দেশীয় গ্যাস মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গ্যাসসম্পদ মূল্যায়ন সংস্থাগুলো একমত পোষণ করেছে, বাংলাদেশে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে অনাবিষ্কৃত গ্যাস পাওয়া যাবে। ’
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এই গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ এবং বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি প্রমুখ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যে সংকট দেখতে পাচ্ছি, তা কোনো আকস্মিক বিষয় না। পরিকল্পনা অনুযায়ীই এই সংকট তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিদ্যুৎ খাতে আমাদের প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।