যৌন হয়রানির দায়ে পদ হারালেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

আন্তর্জাতিক

নিউজ ডেস্ক: যৌন হয়রানির দায়ে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পদ-পদবি খোয়ালেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় সন্তান। এখন থেকে তার নামের সঙ্গে আর রয়েল হাইনেস থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্রে যৌন হয়রানির মামলায় লড়ছেন তিনি। এর মাঝেই রাজপ্রসাদের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।

বাকিংহাম প্যালেস থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক ঘোষণায় জানানো হয়, যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য ও প্রিন্স চার্লসের ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজকীয় ও ডিউক অব ইয়র্ক হিসেবে প্রাপ্ত সামরিক পদবী বাতিল করেছেন রানি এলিজাবেথ।

এদিকে সশস্ত্রবাহিনী থেকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর পদমর্যাদা কেড়ে নিতে রানির কাছে চিঠি লিখেছিলেন ব্রিটিশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সাবেক ১৫০ কর্মকর্তা। ৯৫ বছর বয়সী রানি দেশটির সশস্ত্র, নৌ ও বিমান বাহিনীর বর্তমান প্রধান।

এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মামলার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে করা মামলায় ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের ওই নারী দাবি করেন, অ্যান্ড্রু ২০০১ সালে তাকে অপব্যবহার করেছিলেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তবে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, তারা চলমান আইনি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

এছাড়া শিশু-কিশোরীদের পাচার ও জোর করে যৌনদাসীর কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে কারাবাসে ছিলেন মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন। পরে তিনি কারাগারেই মারা যান। এই অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এপস্টেইনকে অনেকবারই দেখা গেছে প্রিন্স অ্যান্ডুর সঙ্গে। এসব অভিযোগ আসার পর ৬১ বছর বয়সী ডিউক অব ইয়র্ককে ২০১৯ সালে তার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বলা হয়। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *